নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: এবার নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ভেতরের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমি দস্যুতার দায়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে। ঐ জায়গায় গড়ে তোলা জয়নাল আবেদিনের বাঁশ-টিনের স্থাপনা গুড়িয়ে, আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কলেজের ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা।
বুধবার সকাল দশটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে কলেজের ছাত্রীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। ছাত্রীরা জানায়, কলেজের পাশের জমি দখল করে জয়নাল আবেদিন ও পীর বাবু পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা জানান, কলেজের গেটের ভেতরে পাঁচ শতাংশ খালি জায়গা রয়েছে। কলেজের ছাত্রীদের অভিভাবকরা এখানে অপেক্ষা করেন। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় দূর দূরান্ত থেকে আসা অভিভাবকদের আশ্রয় হয়ে ওঠে এ জায়গাটি।
এ জায়গার মালিকানা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত জয়নাল আবেদিন কলেজের অধ্যক্ষকে গিয়ে জানান, এ জমি তিনি কিনে নিয়েছেন। সেখানে তিনি বহুতল ভবন ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল তৈরী করবেন।
গত ২০ নভেম্বর তিনি ‘এ জে ডেভেলপার এন্ড হাউজিং লিঃ এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন’ নামের একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।
এটি দেখতে পেয়ে কলেজের ছাত্রীরা এটি সড়িয়ে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে জয়নাল আবেদীনসহ পাঁচজন বাদি হয়ে কলেজের অধ্যক্ষসহ তিনজনকে বিবাদি করে মামলা করেন।
মামলায় কলেজের অধ্যক্ষকে সন্ত্রাসী, হুমকিদাতা, বলপূর্বক জমি দখলকারি হিসেবে অভিহিত করা হয়। এরপর জয়নাল আবেদীন টিন, বেড়া দিয়ে জায়গাটি আবারো দখল করে।
বুধবার সকাল দশটায় ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের ছাত্রীরা জয়নাল আবেদীনের এ স্থাপনা পুরো গুড়িয়ে দেয়। এবং এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে কলেজের প্রায় দেড় হাজার ছাত্রী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
তবে জেলা প্রশাসক বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস না দিয়ে ছাত্রীরা কলেজের বিষয় নিয়ে রাস্তায় নামায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ছাত্রীদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীদের নয় কলেজ কতৃপক্ষের জেলা প্রশাসকের কাছে আসা উচিৎ ছিলো।
তিনি ছাত্রীদের সব ঘটনায় জড়িত না হওয়ার পরামর্শ দেন। অভিযোগের ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি এই জায়গার ক্রয়কৃত মালিক।
মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আমার স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে ঠিক করেনি।