নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার চর সৈয়দপুর এলাকার একটি পরিবহন অফিসের দোতলার কক্ষ থেকে মেট্টোসেম সিমেন্ট কোম্পানীর এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানা পুলিশ জসিম উদ্দিন চৌধুরী (৩৫) নামের ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জসিম উদ্দিন গত ৫ দিন যাবৎ নিখোঁজ ছিল বলে তার পরিবারের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার এসআই শফিক জানান। তবে কেন কী কারণে জসিমকে হত্যা করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত জসিম উদ্দিন সদর থানার গোগনগর ইউনিয়নের আহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে। জসিম কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত মেট্টোসেম সিমেন্ট কোম্পানীতে চাকরি করতেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাকপ্রতিবন্ধী একজনকে আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিক তার নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর থানার চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সম্রাট পরিবহনের অফিস থেকে জসিমের জবাই করা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবহন অফিসটির মালিক এক সময়ের দুর্ধর্ষ নৌ ডাকাত দৌলত মেম্বার। লাশ উদ্ধারের খবরে হাজার হাজার গ্রামবাসী দৌলত মেম্বারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা হত্যাকান্ডের জন্য দৌলত মেম্বার ও তার লোকজনকে দায়ী করছে।
এসআই শফিক বলেন, নিখোঁজ জসিমের মোবাইল ফোনটি ট্র্যাকিং করে সেটি সম্র্রাট পরিবহন কার্যালয়ের বাকপ্রতিবন্ধী এক কর্মচারীর কাছে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় মোবাইল ফোনটি জসিমের। জসিমের লাশ সম্র্রাট পরিবহন কার্যালয়ে রয়েছে। পরে ওই বাকপ্রতিবন্ধীর দেখানো মতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দৌলত মেম্বারের বাড়িতে হামলা করে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় (রাত ৯টা) ঘটনাস্থলে হাজার হাজার গ্রামবাসী বিক্ষোভ করছিল।