নারায়ণগঞ্জে বেগম জিয়া গণসংযোগ করলে চমক সৃষ্টি হতে পারে

নারায়ণগঞ্জপ্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আসলে ভাগ্য সুপ্রসন হয়ে যেতে পারে এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের। এমনটাই মনে করছেন দলের নেতৃবৃন্দসহ  জন সাধারন।

আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দলীয় প্রতীকনিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। তাই ঐদিনই সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষে প্রচারনা চালাতে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জে অাসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

যেই কারনে অধীর আগ্রহে নেত্রীর আগমনের অপেক্

ষায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সবাই নেত্রীর  আশায়ই বুক বেঁধে আছেন  ।যে, নেত্রী ক্ষনিকের জন্য হলেও দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাতে নারায়ণগঞ্জে আসবেন। আর তিনি যদি না:গঞ্জে আসেন তাহলে ভোটের রাজনীতিতেও একধরনের চমক সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকার দু’টি সিটি নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দলীয় মেয়র প্রার্থীদের প্রচারনা চালিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন সার্বিক পরিবেশ দেখে ভোট বর্জন করায় এই দু’টি সিটিতে আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি বিএনপি।

কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটা এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। কেননা, ঢাকা সিটিতে ভোট গ্রহণের দিন বা তার পূর্বে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও নারায়ণগঞ্জে তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। কারন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর যেমন ক্লিন ইমেজে আছে, তেমনি বিএনপির প্রার্থী এড. সাখাওয়াত হোসেন খানও পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তি। যেই কারনে নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সুষ্ঠ আছে। যদিও প্রার্থীদের মধ্যে একধরনের শংকা বিরাজ করছে, তবে সেটা রাজনৈতিক কৌশলও হতে পারে।

তাই গত নির্বাচনের আগ মূহুর্তে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে ‘গোসল ছাড়াই কোরবানী’ দিয়ে যেই ভুল করেছিল বিএনপি, এবার তা শুদ্রাতে দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জে আসা একান্ত  জরুরী। তিনি যদি আসেন তাহলে ভোটের মাঠের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসতে পারে  বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 ২০১১ সালের  নাসিক  নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমানকে ঠেকাতে বিএনপির প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল, খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে আসলে হয়তো বা তার নিষ্পত্তি হতে পারে। কারন, সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনের টক শোতে শামীম ওসমান বলেই দিয়েছেন, গতবার নির্বাচনের আগ মূহুর্তে তৈমূর আলমকে কোরবানী দেয়া হয়েছিল আর এবার নির্বাচনের দিন সাখাওয়াত হোসেনকে দুপুর ১২ টায় কোরবানী দেয়া হবে।

যদিও ইতিমধ্যেই অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠেই থাকবেন।

 নির্ভরযোগ্য একটি  সূত্র জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধানের শীষে ভোট প্রদানে বঞ্চিত বিএনপি’র ভোটারদের উজ্জীবিত করতে সাখাওয়াতের পক্ষে ২০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে প্রচারনায় আসছেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

 এই সিটি নির্বাচনকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে নিয়ে এখন রীতিমত নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় নেতারা  নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে  সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ইতিমধ্যে দু’দিন নারায়ণগঞ্জ এসে  গণসংযোগ করেছেন।