মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
কক্সবাজারে সাধারন মানুষের জরুরী প্রয়োজনে মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কার্যক্রম নামে থাকলেও বাস্তবেনেই। অনেক উপজেলা হাসপাতালে সপ্তাহে একটি কলও আসেনা বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ্যরা আবার সাধারন মানুষের অভিযোগ ফোন করলে সহকারীরা ধরে তারা কিছু শুনার আগেই বলে রোগী না দেখে ঔষধ দেওয়া যাবে না।
আবার ভিন্ন মত আছে ডাক্তার দের তারা বলেন ঔষধের নাম বল্লে কেউ বুঝেনা।যদি কেউ ভুলে ভিন্ন ঔষধ কিনে খেয়ে ফেলে সেটা আরেক বিপদ তাই ফোন কারীর ধরন বুঝে কথা বলতে হয়।তবে কতৃপক্ষের দাবী মূলত বেশীর ভাগ জনগন মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবার কথা জানেনা তাই এর সফলতা দেখা যাচ্ছে না।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলকার আইনজীবি সহকারি মনিরুল আলম বলেন ১৪ মে রাতে জরুরী প্রয়োজনে সদর হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৭৭০ নাম্বারে ফোন করলে কয়েক বার রিং পড়ার পর একজন রিসিভ করেই বলেন কাকে চাই। তিনি ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন এমন কথার উত্তরে বলেন তিনি হাসপাতালের কর্মচারী যা বলার তাকে বলতে পরে তার সমস্যার কথা কিছু শুনেই বলেন না দেখে কিছু বলা যাবে না হাসপাতালে আসেন বলেই ফোন রেখে দেন।
সরকারের গৃহীত মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে জেলা প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের ধারনা এরকম তিক্ত।উপজেলা হাসপাতালের অবস্থা আরো সুচনিয় প্রথমত বেশীর ভাগ মানুষ মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবার কথা জানেনা। আবার ফোন করলেও প্রযোজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায় না বলে জানান।
আলাপ কালে মহেশখালীর ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বলেন মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবার কথা সাধারন মানুষতো দুরের কথা ইউপি সদস্যরাও জানে কিনা সন্দেহ আছে। আসলে নিজে উপস্থিত হয়ে মানুষ যেখানে হতাশ সেখানে মোবাইলে কি অবস্থা হবে সেটা অনুমান করা যায়।
আলাপ করার জন্য ২৫ও ২৬ এপ্রিল কয়েক বার মহেশখালী হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৪৬৮ নাম্বারে ফোন দিলেও সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
আলাপ কালে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সোলতান আহাম্মদ সিরাজী বলেন চকরিয়া হাসপাতাল সব ছেয়ে ব্যাস্ত হাসপাতাল সামনে জরুরী রোগি থাকলে ফোনে অনেক সময় কথা বলা সম্ভব হয়না। তবে মানুষ ফোন করে এবং সাধ্যমত সেবা দেওয়া হয়।
কুতুবদিয়া হাসপাতালের ডাঃ মিন্টু ধর বলেন কুতুবদিয়াতে বিদ্যুাত নাই কোন ধরনের পরীক্ষা করানোর যন্ত্রপাতি নাই। তার উপর ফোন যারা করে তারা বেশীর ভাগই তাদের কি সমস্যা সেটা বুঝিয়ে বলতে পারে না। তাই মোবাইলে সেবা দিতে সমস্যা হয়। তবুও যতটুকু সম্ভব সেবা দিচ্ছি।
টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার বলেন বেশীর ভাগ সরকারী কর্মকর্তাদের হাতে হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৪৭০ নাম্বারটি আছে। তারা ফোন করে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছে আর সাধারন মানুষও ফোন করে তবে সমস্যা হচ্ছে তারা রোগের কথা বলার পর কোন ঔষধের নাম বল্লে সেটা আর বুঝতে পারে না। এখন আমরা বলবো একটা রোগি যদি ভুল করে অন্য কোন ঔষধ খেয়ে ফেলে যদি কোন বিপদ হয় তাহলে আরেক সমস্যা সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। তাই মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কও থাকতে হয়। তবে মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবার ব্যপারে সাধারণ মানুষ জানে না।
আলাপ করার জন্য রামু হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৪৬৯ নাম্বারে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।আর উখিায়া উপজেলা হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৪৭১ নাম্বারে ফোন করলে প্রথমে একজন হাসপাতালের কর্মচারী ফোন রিসিভ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেলে ডাক্তারকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছে বলে জানান।
সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা বলেন আমার মতে মোবাইলে জরূরী স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি ৯০ ভাগ মানুষ জানে না। এই সুবিধার বিষয়ে জনগনকে আরো সচেতন করতে হবে। নামে থাকলেও বাস্তবে এই সুবিধা কম বলেও জানান তিনি।একই মত পোষন করেন রামু গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তিনি বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে এই মোবাইল নাম্বারটি থাকা দরকার। আর ডাক্তার দেরও যতটুকু সম্ভব সেবা দেওয়া দরকার।
আলাপ কালে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ পুচনু বলেন বর্তমান সরকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বহুমুখি পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবা ২৪ ঘন্টা মোবাইল খোলা থাকবে এবং মানুষ যাতে সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা হবে।