অনলাইন ডেস্ক : বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও পেপারবুক (মামলার সারসংক্ষেপ) প্রস্তুত হয়েছে। সরকারি ছাপাখানা বিজিপ্রেস থেকে আজ রোববার দুপুরে তা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছেছে। হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন সংশ্লিষ্ট শাখা ৬ হাজার পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও পেপারবুক মিলিয়ে দেখবে। এরপর হয়তো আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
জানা যায়, ৭ খুন মামলার রায়ে সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ৯ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাইকোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।
এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য মামলার সকল নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। সেখানে মুদ্রণ শেষে আজ রোববার তা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলার রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন) হাইকোর্টে আসার পর দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, বিচারিক আদালতের রায় যাতে উচ্চ আদালতে যেন বহাল থাকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। একসঙ্গে ২ মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন ।