নরসিংদী প্রতিনিধি : একে জাহিদুল আমিন নামে পুলিশ বিভাগে কর্মরত এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করার এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। জেলার মনোহরদী থানার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের মানারাকান্দা গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের কন্যা মাছুমা নামে এক মহিলা এই হয়রানী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের আলহাজ্ব এটিএম রুহুল আমিন ভূইয়ার পুত্র একে জাহিদুল আমিন ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর নরসিংদী পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। নরসিংদী পুলিশ লাইনে দীর্ঘ দিন শৃংখলার সাথে চাকুরী শেষে সম্প্রতি সিলেট সদরে বদলী হয়ে যায়।
মাছুমার অভিযোগ অনুযায়ী নরসিংদীতে চাকুরী করাকালে ২০১৩ সালে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে মাছুমা’র সংগে এই পুলিশ সদস্যের পরিচয় ঘটে। পরে তারা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মাধবদী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে।
তার দাখিলকৃত হলফনামা ২০ মে ২০১৫ তারিখে নারায়নগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে। যাহা অভিযোগের সমর্থনে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করে। পরে এ পুলিশ সদস্য তাকে ফেলে সিলেটে বদলী হয়ে যায় এবং তার সংগে সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করে।
মাছুমার অভিযোগ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্তকালে দেখা যায় যে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের সীল-স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে ঐ বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক বিগত ২০০৪ সালে মৃত্যু বরণ করেছেন। এরপর থেকে ঐ কার্যালয় বন্ধ রয়েছে এবং সরকারী রাজস্ব জমা না দেয়ায় তার নোটারী পাবলিক লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। যে কারণে মাছুমার অভিযোগ সকল পর্যায়ে মিথ্যা বলে প্রতিয়মান হয় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পরে বিষয়টি নিয়ে মাছুমা ১৫ ফেব্র“য়ারী ২০১৭ তারিখে পূনরায় নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। যাহার নং মাধবদী সিআর মামলা নং ৯৪/১৭ খ্রি:। এ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নরসিংদী জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৈয়দা মাসুদা ইসলাম তদন্ত করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযোগকারী মাছুমাকে বার বার নোটিশ প্রদান করা সত্বেও শুনানীর জন্য উপস্থিত হননি এবং তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোন প্রমানপত্র দাখিল করেননি বিধায় ঘটনাটি সত্য নয় বলে প্রতিয়মান হয়। গত ২ মে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের সংগে আলাপকালে অভিযোগকারী মাছুমা, কনস্টেবল একে জাহিদুল আমিন’র সংগে একত্রে বসবাসের দাবী করলেও মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ হয়নি বলে স্বীকার করেছেন। সাংবাদিকরা মাছুমার অভিযোগটি প্রতারনা কি না জানতে চাইলে কোন উত্ত না দিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে চলে যায়।