নগরকান্দায় ভিজিডির চাল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কান্ড

কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুস্থ মহিলাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুজন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নে ভিজিডি চক্র ১৭-১৮ এর জন্য ৩৬৪ জন দুস্থ মহিলাদের জন্য ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নাগারদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের মেয়ে মেহেরুন নেছা (কার্ড নং-৩৫৪) ও ২ নং ওয়ার্ডের রঘরুদিয়া গ্রামের ওবায়দুর মোল্যার স্ত্রী বিউটি বেগমের (কার্ড নং-৩১১ ) নাম তালিকাভুক্ত হয়। ভিজিডির তালিকায় তাদের নামের বিপরীতে বিগত চার মাস চাল বিতরন হলেও তারা আজও জানতে পারেন নি তাদের নাম তালিকায় রয়েছে। অথচ মাষ্টার রোলে দেখা গেছে তাদের নামের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করা হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, এরকম আরো অনেক কার্ড রয়েছে যারা আজও জানে না তাদের নামে কার্ড হয়েছে। অথচ মাষ্টার রোলে সেইসব কার্ডের চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে।
অভিযোগকারী মেহেরুন নেছা বলেন, চাল বিতরনের দুই মাস পর জানতে পারি আমার নাম ভিজিডির তালিকায় রয়েছে। একথা জানার পর আমি মার্চ মাসের চাল আনতে পরিষদে গেলে কার্ড নেই বলে চেয়ারম্যান তাকে ৫ কেজি চাল দিয়ে বিদায় করে দেয়।
অপর অভিযোগ কারী বিউটি বেগম বলেন, তালিকায় নাম রয়েছে কিন্তু বিগত ৪ মাস চাল বিতরন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত ভিজেডির চাল ও কার্ড কোনটাই পাইনি। এমনকি আমার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বাসার মোল্যার বাড়ীতে গিয়ে এ বিষযে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন তালিকায় আপনার নাম রয়েছে। তবে চেয়ারম্যান আমাকে আপনার কার্ড সরবরাহ করেনি। আমি আপনাকে কার্ড দিব কি করে।
উল্লেখ্য চরযশোরদী ইউনিয়নে ভিজিডির তালিকায় সচ্ছলব্যাক্তি, চাকুরীজীবি, প্রবাসী, ইউপি সদস্য ও একই ব্যাক্তির নামে একাধিক কার্ডসহ এরকম ৫৮টি তালিতাভুক্ত কার্ডের বিপরীতে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক মোবাইলে বিষয়টি অস্বীকার বলেন,এমন ঘটনা ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তানিয়া মোস্তফা বলেন, অভিযোগ পত্র পেয়েছি। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।