ধানের শীষের ৫ উপজেলা চেয়ারম্যানের সাংসদ হওয়ার আশা শেষ

অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিএনপির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ৩ জনের প্রার্থিতা আটকে গেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।

এছাড়া আরও ২ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করে হাইকোর্ট সোমবার রুল জারি করেছে। ফলে মানিকগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা খান রিতা, ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, বগুড়া-৩ আসনের প্রার্থী আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত তালুকদার এবং বগুড়া-৭ আসনের প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল আর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা খান রিতার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিতার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে আদালতে রিট করে সোনালী ব্যাংক। গত ১২ ডিসেম্বর রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্র বৈধ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণা করলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করেছিল। কিন্তু তার আবেদনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছিল চেম্বার আদালেত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকছে এবং তমিজ উদ্দিন নির্বাচন করতে পারছেন না।

বগুড়ার মোহিত তালুকদার এবং সরকার বাদলের মনোনয়ন পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় তাদের ভোটের আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগ সোমবার ওই স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছে।

আপিল আদালতে তিন প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী।

সানজিদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে বিএনপি মনোনীত এ তিন প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।

তমিজ উদ্দিন ও মোহিত তালুকদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন; কিন্তু তা গৃহীত না হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। আর সরকার বাদল পদত্যাগ না করেই প্রার্থী হয়েছিলেন বলে তার মিনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

ঢাকা-১ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাকের মনোনয়ন পত্র নির্বাচন কমিশনে পেলেও হাই কোর্ট সোমবার তা স্থগিত করে দিয়েছে।

ওই আসনে কুলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা বিকল্প ধারার জালাল উদ্দিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।