স্টাফ রিপোর্টার : ধানের শীষের গন জোয়ার শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষ মুখিয়ে আছে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য। ধানের শীষের গন জোয়ার দেখে সরকার দলের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই তারা এখন বিভিন্ন উঠান বৈঠকে পাগলের প্রলাপ বকছেন।
মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তবে এ জোয়ার কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। আগামি ৩০ ডিসেম্বর জনগন গনতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে- রোববার সকালে নিজ বাসায় আয়োজিত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলছে আমাকে কেউ চিনে না, অপরিচিত প্রার্থী তাকে ভোট দেয়া যাবে না। আমি বলতে চাই আমাকে নয় আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন। আমার পরিচয়ের দরকার নেই।
আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমার প্রতীক ধানের শীষ। এ প্রতীক সারা দেশের আপামর জন সাধারনের প্রতীক, গনতন্ত্রের প্রতীক। আপনারা ধানের শীষে ভোট দেবেন। তিনি আরো বলেন, ধানের শীষের জোয়ার দেখে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি আবোল-তাবোল বকছেন বিভিন্ন উঠোন বৈঠকে গিয়ে।
আমাকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। আমি আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে বলতে চাই, আমার পরিচয়টা জেনে নিন এবং আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কি করেছি? সব রেকর্ড আছে। আমার সিএস, এসএ, আরএস এই ফতুল্লার মাটিতে। আমি অন্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে বসত গড়িনি। আমি এ মাটির সন্তান, এ মাটিতেই আমার বসবাস।
পাস করলেও এখানেই থাকবো, ফেল করলেও এখানেই থাকবো।’ সম্প্রতি একটি উঠোন বৈঠকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যায়িত করেন শামীম ওসমান।
এ প্রসঙ্গে ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘গ্রামে একটা প্রবাদ খুব বেশী প্রচলীত আছে- ‘যার মনে যেইটা ফালদা উঠে সেইটা।’ মানুষের মনে একটা বিষয় অনেক আগেই তৈরী হয়েছে তার সম্পর্কে। এই গোলা বারুদ, এই সেই। এইগুলো নিয়েই তার জীবন। আমাদের জীবন এইগুলো নয়।
আমি তাকে ভালোই মনে করতে চাই। যেহেতু আমি নিজে কখনো স্বচক্ষে খারাপ কাজ করতে দেখিনি। তাকে আমি ভদ্র হিসেবে মানতে চাই। এবং ভদ্রতা তার কাছ থেকেও আশা করবো। তিনি আমার সম্পর্কে যেগুলো বলছেন, সেগুলো বলে একটা ধু¤্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করে ভোটের বৈতরনী পাড় হতে চেষ্টা করছেন।’
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষ যেনো নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজ পছন্দে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করা। তাহলেই বুঝা যাবে কে যোগ্য। আমি আশাকরবো প্রশাসন সবার জন্যই সমান সুযোগ তৈরি করে দেবে।’