ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন নাঈম আশরাফ

অনলাইন ডেস্ক : বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। অপরদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা যার যার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। মনিরুল ইসলাম বলেন, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে নাঈম আশরাফ ওরফে বাটপার নাঈম ওরফে এইচ এম হালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদীদের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন রাতে নাঈমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল। গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে নিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে। এই ঘটনার শুরু থেকেই প্রচারণা ছিল আসামিরা প্রভাবশালী এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের চোখে প্রভাবশালী বলে কোনো কিছু নেই। যত প্রভাবশালীই হোক কাউকে ছোড় দেওয়া হবে না। যদি আরও কোনো প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। সামগ্রিক বিষয় ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ধর্ষণ বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন রাতের প্রধান ভূমিকা পালনকারী নাঈমকে মাত্রই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পরই সামগ্রিক বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। প্রয়োজনে সাদমানকে আবারও রিমান্ডে চাওয়া হতে পারে, সাফাতেরটা এখনই বলা যাচ্ছে না। অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাফাতের বডিগার্ড রহমতের কাছ থেকে তার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি সেই রাতে ব্যবহার হয়েছিল কি না আমরা তদন্ত করছি। ধর্ষণের অভিযুক্তদের থেকে তরুণীরা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন হলেও ধর্ষণ হতে পারে। এ সময় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন, উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।