অনলাইন ডেস্ক:
আপনি একজন কর্মব্যস্ত নারী। কাজের ব্যস্ত দিনগুলো শেষে সাপ্তাহিক ছুটিতে রাতের পার্টিতে বা ডিস্কোতে হয়তো যেয়ে থাকতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন যে বিষয়টি, তা হলো ‘পার্টি ড্রাগ’।
ভায়ালো ইজির নাম শুনেছেন কী? যদি না শোনে থাকেন তবে ‘পার্টি ড্রাগ’ নামে জানলেও জানতে পারেন। যে নামেই ডাকুন বা চিনুন না কেন, জেনে রাখুন এই ড্রাগের পিছনে কু-মতবল আছে। সাধারণত রাতের পার্টিতে বা অনুষ্ঠানে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্য থাকলে, তার পানীয়ের সঙ্গে এই ড্রাগ মিশিয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে এই ড্রাগের অপর নাম ‘রেপ ডেটিং’।
এই নয় যে শুধু পার্টি বা ডিস্কোতে গেলেই মেয়েরা এই ড্রাগের ফাঁদে পড়তে পারেন। সুযোগসন্ধানীরা ওত পেতেই থাকে। ফলে, অল্প পরিচিত বা অপরিচত কেউ কোনও খাবার বা পানীয় অফার করলে, একটু সাবধান থাকবেন।
দুনিয়াজুড়ে কত মেয়ে যে এই রেপ ডেটিং ড্রাগের শিকার হয়েছেন, তার কোনও সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখেছে, ভায়ালো ইজি জাতীয় ড্রাগ পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ‘শিকার’কে বেহুঁশ করা হয়েছিল।
সোশ্যাল সাইটের বিভিন্ন পোস্টিং থেকে জানা গেছে, দাগি অপরাধীদের হাত ঘুরে এই ড্রাগ এখন চলে এসেছে কিছু স্মার্ট যুবকের কাছে। পার্টিতে গিয়ে ধর্ষণ করতেই এই ড্রাগ তারা সঙ্গে রাখছে।
ভায়োলা ইজি ব্যবহার পুরিপুরি বেআইনি। কোনওভাবে পেটে গেলে আচ্ছন্ন করে ফেলে। স্থান-কাল-পাত্র-সময় কিছুই মনে পড়ে না। এটি গামা-হাইড্রক্সিবুটাইরেট (GHB)। সাধারণত পেশি ফোলাতেই বেআইনি ভাবে এই ওষুধ পুরুষরা ব্যবহার করে থাকে। মৃত্যু হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকায় এই ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এই ভায়োলা ইজি তরল হতে পারে, গুঁড়ো পাউডারের মতোও পাওয়া যায় আবার পিল হিসেবেও বাজারে রয়েছে। পানীয়ে যে ভাবেই এর প্রয়োগ হোক, গন্ধ ও স্বাদ না-থাকায় মুখে দিয়ে বোঝার উপায় নেই। ফলে, সহজেই শিকার ধরতে সুবিধা হয় সুযোগসন্ধানীদের।
শরীরে যাওয়ার ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই লক্ষণ দেখা যায়। তবে কী পরিমাণ ব্যবহার হচ্ছে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। শরীর ক্রমশ ছেড়ে দেয়। তন্দ্রা আচ্ছন্ন করে ফেলে। দুর্বল দুর্বল লাগে। প্রেসার কমে যায়। আর বেশি গেল বমি, মাথা ধরা তো রয়েছেই।
কাজেই আশা করা যায়, আপনি একজন সচেতন নারী হিসেবে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এই জাতীয় পানীয়তে চুমুক দিবেন না।