পটুয়াখালীতে নির্মিত হচ্ছে আট গুণ বেশী ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন

হাছিব সুমন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ১হাজার ৫শত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সুবিধা সহ গোটা দেশ নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রথমটির তুলনায় প্রায় আট গুন বেশী ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিনটি অভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ রফতানি করে বৈদোশিক মুদ্রার্জনের সুযোগ পাবে।পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার মাইট ভাঙ্গা এলাকায় নির্মিত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি। ক্রমশই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে বর্তমানে কক্সবাজারে একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। কোন কারণে এ সাবমেরিন কেবল লাইন কাটা পরলে অথবা ক্রটি দেখা দিলে বিএসসিসিএল এর হাতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই বিপাকে পরতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তাই পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সাথে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে সংযোগ স্থাপন করবে বিএসসিসিএল। এর ফলে দ্রুতগতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবে গ্রাহকরা।সাগরের নীচদিয়ে ফ্রান্স থেকে সিঙ্গাপুর,মালেশিয়া,ইন্দোনেশিয়া,শ্রীলংকা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল স্থাপন করা হয়েছে। ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা সঞ্চালন লাইন সংযুক্তির জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে। সংযোগ স্থাপনের শেষ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে আগামী নভেম্বর মাসে। স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দুরত্বে বঙ্গোপসাগরে বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করা হলেও বৈরী আবহাওয়ার জন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়। তাই নভেম্বরে সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন চালু করা সম্ভব হবেনা বলে জানান,পারভেজ মনন আশরাফ,প্রকল্প পরিচালক, আঞ্চলিক সাবমেরিন কেবল টেলিযোগাযোগ। কুয়াকাটায় সাবমেরিন স্টেশনটি চালু হলে তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ এতটাই এগিয়ে যাবে যে উন্নত বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্লসে শিক্ষার্থীদের বিষয় ভিত্তিক যে পাঠদান করা হয় তা সরাসরি দেখা যাবে। ফলে দেশের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই জ্ঞানার্জনের আলাদা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি চালু হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে বর্তমানের চেয়ে গতি কয়েক গুন বেড়ে যাবে। শুধু ইন্টারনেট নয়,সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনটি চালু হলে তথ্য প্রযুক্তিতে বিশ্বের সাথে দেশেব একটি নিবিড় বন্ধন তৈরী হবে। এছাড়াও গ্রামীন জনগোষ্ঠির তথ্য প্রযুক্তি উন্নতি সাধনের পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।ডাক ও টেলি যোগযোগ সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, সাবমেরিন কেবল সংযুক্তির মাধ্যমে ডাটার পরিধি এবং দেশের তথ্য প্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে এবং সরকার এ খাতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের সুযোগ পাবে। তাই সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।