অনলাইন ডেস্ক :বাংলাদেশে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ আর ১৬ ভাগ নারী। এছাড়া ৯৮ ভাগই ধূমপান থেকে মাদকাসক্ত হন। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আর ওই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। মা–বাবাদের সন্তানকে সময় দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের সঠিক ঠিকানা চায় দুদক। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হয় মাদক ব্যবসা ছাড়বেন, না হয় জেলে যাবেন। তিনি বলেন, দুদক অনেক দিন ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের খোঁজ করার চেষ্টা করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের কিছু নাম ও ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ২০১৫ সালে ১০ লাখ পিস ইয়াবা ধরা হয়েছে। গত বছরে ৩৫ লাখ ইয়াবা আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৫০ বার অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাইলেই মাদক রাতারাতি বন্ধ করতে পারব না। এর জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার।’ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি নেই, এটা একটা বড় সীমাবদ্ধতা। এটি হলে তাঁদের অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মাদক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, মাদক সরবরাহের রাস্তা বন্ধ, সচেতনতা বৃদ্ধি, জেলা–উপজেলা পর্যায়ে মাদক সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার, কর্মশালা, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়, মনিটরিং জোরদার করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।