আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
ক্ষমতার পালা বদলে “দেশে অনেক প্রধানমন্ত্রী পাবেন, কিন্তু জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার মতো আর কোন প্রধানমন্ত্রী পাবেন না”। তাই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা স্বাধীনতা বিরোধীদের ভোট দেবেন না। ওরা ক্ষমতায় এলে দেশে আবার হত্যা আর গুমের রাজনীতি চালু করবে। যার ধারাবাহিকতা শুরু করেছিল জিয়াউর রহমান। জিয়ার আমলে কোন মুক্তিযোদ্ধা তার কাছে সনদ আনতে যেতে পারেনি। অথচ, মিথ্যা ইতিহাসের স্বাক্ষ্য হিসেবে সেই জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক দাবি করে বিএনপি। গত ১০ বছর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, এই সময়রে মধ্যে কোন বিএনপি নেতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয়নি। অথচ ২০০১ সালে জামাত বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী রামশীল গ্রামে। তাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মার্কা নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন জাতির পিতার ভাগ্নে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এম.পি।
গত বুধবার ৬ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার কোদালধোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মৃনাল জয়ধরের সভাপতিত্বে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এম.পি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী জিয়া ক্ষমতায় থাকালীন যত হত্যা হয়েছে তার মদদ দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। জিয়া বেচেঁ থাকলে অবশ্যই ফাঁশির কাষ্টে জুলতে হতো। আমি তার মরোণোত্তর বিচার দাবী করছি। এ সময় তিনি স্বাধীনতার পক্ষের সবাইকে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপনেরও আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুচ, আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য গোলাম মোর্তুজা খাঁন, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ, বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, সাবেক যুবলীগ নেতা ফিরোজ শিকদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাত, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইক প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামীলীগ সমন্বয়ক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট রনজিৎ কুমার সমদ্দার, পেয়ারা ফারুক বক্তিয়ার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সরদার, মলিনা রাণী রায়, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি সাইদুল সরদার, আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম পাইক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।