দুর্নীতির মামলায় রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ মৃধাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম : নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধাসহ তিনি আসামিকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির আশ্রয় নেন মৃধা ও তার সহযোগীরা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।
মৃধার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা ছিল। মামলাগুলো হচ্ছে গুডস সহকারী, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার, রেকর্ড কিপার, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, শরীরচর্চা শিক্ষক ও রেলওয়ের আদালত পরিদর্শক পদে নিয়োগের মামলা। এসব ঘটনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউসুফ আলী মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ জানুয়ারি সাতটি মামলায় মৃধাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় দুদক। কিন্তু মামলার নথি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে টাকার বস্তাসহ আটক হন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক। সে সময় ফারুকের সঙ্গে ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। বিজিবি ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৬০ লাখ টাকা পাওয়া যায় বলে ঘোষণা করেছিল। এ ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়েছিল, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ওই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। গাড়িটি তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাচ্ছিল বলে কারের চালক স্বীকার করেছিলেন।
এ ঘটনা তদন্ত করে ইউসুফ আলী মৃধা ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি মামলা করেন দুদকের কর্মকর্তারা। পরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। মৃধা পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক থাকার সময় রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে সাময়িক বরখাস্ত এবং মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন মৃধা। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।