দুর্গাপূজাকে সামনে রেখেদুর্গাপূজা সামনে রেখে মোমবাতি-আগরবাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারিগররা

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার সমাপ্তির পরেই পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা। লক্ষ্মীপূজার কয়েকদিন পরেই কালীপুজা। পূজার বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোমবাতি ও আগরবাতি। এসময় মোমবাতি ও আগরবাতির চাহিদা বেশি থাকায় কারিগররাও বসে নেই। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের দাসপাড়ায় নারায়ণ দাস, তার স্ত্রী ঊষা দাস ও ছেলে অঞ্জন দাসকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মোমবাতি-আগরবাতি তৈরির কাজে। নারায়ণ দাস জানান, ভারত গিয়ে তিনি মোমবাতি-আগরবাতি তৈরির কাজ শেখেন। ১৫ বছর পূর্বে অল্পপরিসরে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন মোমবাতি-আগরবাতি তৈরির ক্ষুদ্র কারখানা ‘দাস প্রোডাক্টস’। পৃষ্টপোষকতা পেলে নারায়ণ দাসের মোমবাতি ও আগরবাতির কারখানায় অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সম্ভব। পরপর তিনটি পূজা উৎসবকে সামনে রেখে নারায়ণ দাস আগরবাতি-মোমবাতির উৎপাদন বৃদ্ধি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ হারতা বন্দর, বানারীপাড়া, স্বরূপকাঠী, পিরোজপুর, ঝালকাঠীসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রী করছেন। এসব হাট-বাজারে নারায়ণ দাসের তৈরি করা মোমবাতি-আগরবাতির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও মূলধন স্বল্পতার কারণে ঊৎপাদন বাড়াতে পারছেন না। নারায়ণ দাস জানান, তিনি সরকারের কাছ থেকে সহজশর্তে ঋণ সহায়তা পেলে নিজেই গড়ে তুলবেন মাঝারী আকারের কুটির শিল্প।