অনলাইন ডেস্ক: বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে ধর্ষণের সময় দুই তরুণীকে নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল যবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। র্যাব ১০ এর পরিচালক (অতিরিক্ত ডিআইজি) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিল্লাল র্যাবকে জানিয়েছে, ওই দিন দুই তরুণীর ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। হোটেলের রুমের মধ্যে ভিকটিমের বন্ধুদের হাতে ইয়াবা দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, তারা যদি এই ঘটনা ফাঁস করে দেয় তাহলে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে মামলা দিয়ে দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেবে।মোবাইলে ধারণ করা সেই ভিডিও ডিলেট করে দিযেছে বলে বিল্লাল জানিয়েছে।ঘটনার সময় বিল্লাল বাথরুমে ছিল। ওই দিন কী ঘটেছিল তা বিল্লাল সব জানে।
‘ধর্ষণের আগে দুই তরুণীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল’ বলে র্যাবের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতু্ব্বর বলেন, ‘বিল্লালকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করার পর্যাপ্ত সময় আমরা পাইনি। বাকি জিজ্ঞাসাবাদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করবেন।’
সোমবার সন্ধ্যায় নবাবপুরের ইব্রাহিম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে বিল্লালকে গ্রেফতার করে।
বিল্লাল জানিয়েছে, সে ঢাকায় এসেছে আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কীভাবে মামলা মোকাবিলা করা যায় সেই চেষ্টা করছিল সে।
এদিকে সন্ধ্যায় গুলশান থেকে সাফাতের বডিগার্ড রহমতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। জন্মদিনের পার্টির কথা বলে দুই তরুণীকে হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান বিল্লাল ও রহমত।
গত ৫ মে ভিকটিম দুই তরুণীর একজন বনানী থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। অন্য তিনজন ছিলেন সহায়তাকারী।
গত ৬ মে মামলার পর পালিয়ে যাওয়া সাফাত ও সাদমানকে গত ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।
এদিকে গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলের সামনে থেকে রহমতকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। রহমত তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিল। তার কাছ থেকে একটি শটগান এবং ১০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।