ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)সংবাদদাতাঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৩ সহোদরের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলা দায়েরের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ জুম্মা ত্রিশাল ফুলবাড়ীয়া সড়কের ছলিমপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ছলিমপুর গ্রামের মক্কেস আলী, নূরুল ইসলাম এবং নূর মুহাম্মদ নামে তিন সহোদরের বিরোদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে সোমবার ময়মনসিংহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ঘোষবেড় গ্রামের আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় এর প্রতিবাদে এবং জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রুজু সাজানো মামলা হতে নিরাপরাধ ৩ সহোদয়ের মামলা হতে অব্যাহতি প্রদানের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মফিজুল ইসলাম,মাওলানা ইসমাইল হোসেন,আব্দুর রশিদ,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক,দেওয়ান রেজাউল করীম প্রমুখ।
এব্যাপারে ছলিমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মফিজূল ইসলাম (৭০)জানান আমাদের গ্রামের জাফর আলী ও তার ছেলে মান্নান আমাদের এলাকার চিহ্রিত চোর ছিল,তৎকালীন আমলে গরু চুরি ঘরে সিদ কাটাসহ বাড়ী বাড়ী চুরি করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। মান্নান ১৯৬৬ সালে এলাকায় একটি খাসি চুরি করলে এলাকাবাসী তাকে ধরে গন ধোলায় দিলে তার মৃত্যু হয়। সেই বছরেই মান্নানের ছেলে মেয়েরা সকল জমি জমা বিক্রি করে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় চলে যায়। সেই সময়ে মান্নানদের বাড়ীতে থাকা ৯ শতাংশ জমি যা বাড়ীর ৩ সহোদরের পিতা হাফিজ উদ্দিন সরকারের কাছে ১৯৫৭ সালে সাব কাওলা দলিল মূলে বিক্রি করে দেয়। এ ব্যাপারে ছলিমপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল খালেক মাষ্টার জানান- ৯ শতাংশ জমি দখল নিয়ে কিছু দিন আগে নূর মোহাম্মদদের সাথে মামলার বাদী লতিফদের বিরোধ হয়। এই বিরোধের জের ধরেই খাসি চুরির দায়ে ১৯৬৬ সালে গন পিটুনিতে নিহত মান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটির প্রায় ৫১ বছর পর চোর মান্নানের ছেলে আব্দুল লতিফ যুদ্ধের সময় তার বাবাকে এই ৩ সহোদর হত্যা করেছে দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এলাকাবাসী এই মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা চক্রান্ত করে এই ৩ সহোদরের বিরুদ্ধে এতো কঠিন মামলা রুজু করেছে সরকারের কাছে সঠিক ভাবে তা অনুসন্ধান করে নির্দোষ ৩ সহোদরকে এই মামলার দায় থেকে মুক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্রকারী এই চক্রটিকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।