ত্রিশালে টেলিটক টাওয়ার নির্মানের কথা বলে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও এন.আই.ডি জালিয়াতি

রেজাউল করিম বাদল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ধানীখোলা ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকায় টেলিটকের টাওয়ার নির্মান ও বিনামুল্যে সিম বিতরণের কথা বলে প্রায় ৪০ জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়েছে স্থানীয় জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি। ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার পর কোন টাওয়ার নির্মান বা সিম দেওয়া হয় নাই। এতে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদানকারীরা আতঙ্কিত হয়ে ত্রিশাল থানায় সাধারন ডায়েরী সহ পুলিশ সুপার ও র‌্যাব বরাবরে অভিযোগ করেছেন।জানাগেছে, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নে হাপানিয়া এলাকায় মুখলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন গত ৭ সেপ্টেম্বর এলাকায় টেলিটকের টাওয়ার নির্মান বিনামুল্যে সিম, বিতরণ লটারীর মাধ্যমে পুরষ্কার ও স্থানীয় লোকজনদের টেলিটক টাওয়ারে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। জয়নাল আবেদীন এ সকল প্রলোভনে পরে সহজ সরল সাধারন মানুষ তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট সহ ভোটার আইডি কার্ড তার হতে তুলে দেয়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে ঐ একি এলাকায় প্রায় ৪০ জন পরুষ ও মহিলার কাছ থেকে একেক জনের নিকট থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ বার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার পর ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন র্পযন্ত কোন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জয়নাল আবেদীনকে বার বার চাপ প্রয়োগ করেন। জয়নাল আবেদীন এর কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে গ্রামবাসীদের উল্টো বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সাধারন ডায়েরী করেন, মোঃ আকরাম হোসেন ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করেছে। এছাড়াও ২০-২৫ জন লোকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার, র‌্যাব-১৪ অধিনায়ক ও ত্রিশাল থানা বরবরে অভিযোগ দায়ের করেছে।স্থানীয় আলহাজ্ নায়েব আলী জানান, জয়নাল আবেদীন আমাদেরকে লটারীর মাধ্যমে টিভি, ফ্রিজ ও মটরসাইকেল দিবে বলে হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও ভোটার আইডি নাম্বার নিয়েছেন।আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী শাহানাজ বেগম জানান, আমার ছেলে বিদেশ থাকে। টেলিটকের টাওয়ার বসিয়ে সিম দেওয়া হলে ছেলের সাথে ভালবাবে কথা বলা যাবে। এই কথা বলে আমার কাছ থেকে ২০ বারের বেশি মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার নিয়েছেন। রিক্সা চালক আবু হানিফ জানান, আঙ্গুলে ছাপ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার নিয়া কোন কিছু করেনাই। এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন আমাদেরকে উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা এখন আতঙ্কে জীবন যাপন করছি যে, কোন সময় কোন বিপদে পড়ি।শফিকুলের স্ত্রী সৌদি আক্তার জানান, তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার ফলে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্ততা স্বীকার করেন। কিন্তু কি কারণে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এরিয়েযান এবং এই প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ আসাদ জানান, ঘটনাটি অভিযোগকারীরা আমাকে মৌখিক ভাবে জানালে আমি অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ত্রিশাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এব্যাপারে আমরা একটি সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু তদন্ত না করায় সঠিক কোন তথ্য পাইনি।