ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ব্লকে কীটনাশকের বদলে সেক্্রফেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা কুমড়ার বাম্পার ফলন পেয়েছেন । উপজেলার রামপুর ব্লকের ৭ জন দরিদ্র চাষি কুমড়া বিত্রিু করে ঘরে তুলেছেন প্রায় তিন লক্ষ টাকা । কুমড়া চাষ ভাল হওয়ায়তারা হয়েছেন আর্থিকভাবে লাভবান ,এতে বেড়েছে সংসারের উন্নতি । পরিবারের অভাব অনটন কিছুটা কমেছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীররামপুর গ্রামে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ও জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় ৭ প্লটে মোট ২৩১ শতাংশ জমিতে চাল কুমড়া আবাদ করা হয় । এই প্রকল্পে বীররামপুর উজানপাড়া গ্রামের কৃষক আবু সায়িদ ও আবুল হাসেম প্রতি জন ৩৩ শতাংশ করে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করেও সেক্্রফেরোমেন পদ্ধতিতে পোকা দমন করে ইতি মধ্যে প্রায় ৪০,০০০ হাজার টাকা করে কুমড়া বিত্রিু করেছেন । এতে তাদের খরচ হয়েছে মাত্র দশ হাজার টাকা করে । বর্তমানে যে পরিমান কুমড়া ও ফুল রয়েছে তাতে আর ও প্রায় দশ হাজার টাকা করে কুমড়া বিত্রিু হতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন । একই গ্রামের কৃষক আঃ বাতেন ,হাবিবুর রহমান তারাও চাল কুমড়া আবাদ করে প্রতিজন বিক্রি করেছেন প্রায় ৪০,০০০ হাজার টাকা । কুমড়া চাষিরা জানায়,বিষমুক্ত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও মূল্য বেশি ।
ময়মনসিংহ জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আলতাবুর রহমান জানান, সবজি উৎপাদনে চাষিরা যেভাবে কীটনাশক ব্যবহার করছে তাতে মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ত্রুমশই কমে যাচ্ছে । এখন আমাদের সেক্রফেরোমেন বা যাদুর ফাদ ব্যবহার করে ফলের মাছি পোকা দমন করতে হবে । এর কোন বিকল্প নেই । এতে বিষমুক্ত সবজি উতপাদন করা সহজ হবে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দ্বীপক কুমার পাল জানান, কুমড়া জাতীয় ফসলে মাছি পোকা আক্রমন করে এ পোকা এক জায়গায় স্থায়ী থাকেনা তাই কীটনাশক দ¦ারা দমন করা কঠিন এজন্য সেক্্রফেরোমেন বা যাদুর ফাঁদ ব্যবহার করে সহজেই এবং কম খরচেই এ পোকা দমন করা সম্ভব ।
বীররামপুর ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ডিপ্লোমা কৃষিবিদ রুহুল আমীন জানান, আমার ব্লকে এ বছর একশত একর জমিতে কুমড়াসহ অন্যান্য সবজি সেক্রফেরোমেন বা যাদুর ফাঁদ ব্যবহার করে আবাদ হয়েছে । অত্র ব্লকের বিভিন্ন শাক-সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে । সরকার যদি সেক্্রফেরোমেন বা যাদুর ফাঁদ বিনামূল্যে বা সল্পমূল্যে সরবরাহ করে তবে প্রায় সকল জমি থেকেই বিষমুক্ত সবজি বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে । বিষমুক্ত সবজি খেলে স্বাস্থ্য বিশেষঞদের মতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও ঝুকি কমে আসবে ।