তিনজন দিয়ে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের গৌরনদী সার্কেলের কার্যক্রম

বরিশাল প্রতিনিধিঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বরিশালের ৫ উপজেলার হেড কোয়াটার গৌরনদী সার্কেল অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে মাত্র ৩ জন। আর এই ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়েই দীর্ঘদিন যাবত চলছে বরিশাল জেলার ৫ উপজেলা যথাক্রমে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, মুলাদী ও হিজলা উপজেলার মাদক নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম।

তাদের না আছে গাড়ী, না আছে অস্ত্র, ইউনিফর্ম পর্যন্ত নেই এমনকি মামলার জন্য বরাদ্দ নেই অর্থ। গৌরনদী মাদকের স্বর্গরাজ্য হওয়া সত্যেও নানাবিধ সমস্যার কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের গৌরনদী সার্কেলের কার্যক্রম। গত ৩ মাসে মাত্র ২০ গ্রাম গাাঁজাসহ ২ জন গাঁজা বিক্রেতাকে আটক করতে পেরেছেন অত্র অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তবে তারা কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর ধারে কাছে যেতে সাহস পাননা। গত বছর গৌরনদীর সাওড়া এলাকায় ৩ মাদক বিক্রেতাকে আটক করতে গিয়ে মাদক বিক্রেতা ও তাদের সহযোগীদের হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন।

এ কারণে পুলিশের সহায়তা ছাড়া তারা মাদক বিরোধী কার্যক্রম চালাতে সাহস পাননা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরে অবস্থিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের গৌরনদী সার্কেল অফিসে গিয়ে অফিসটি তালাবদ্ধ দেখা যায়।

আশপাশের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায় এ অফিসটি মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকলেও প্রায়ই বন্ধ থাকে। এখানে কর্মরত ইন্সপেক্টর মোঃ ফরহাদ হোসেনের কাছে মোবাইলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি জুরুরি কাজে বাইরে আছেন।

এ সময় তিনি বলেন, এখানে ৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৩ জন। ১ জন ইন্সপেক্টর , ১ জন এএসআই ও ১ জন সিপাহী রয়েছে এখানে।

এর পরেও মাদক মামলার স্বাক্ষী দিতে প্রায়ই আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব গাড়ী নেই, অস্ত্র নেই। এমনকি আমাদের আলাদা কোন ইউনিফর্ম নেই। থানা পুলিশের সহয়তা নিয়েই আমাদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।

মামলার খরচ চালাতে হয় নিজের পকেটের টাকায়। মামলার স্বাক্ষীর টিয়ে-ডিয়ের টাকা (যাতায়াত ভাড়া) পান এক বছর পর।