একাত্তরলাইভডেস্ক: মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ১৪ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আবদুল গফুর বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। পরে সংশ্লিষ্টদের ডেকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনসার বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’ঢামেক হাসপাতাল প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আট আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে গণধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত ছয় আনসার সদস্য একরামুল, আমিনুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, মো. সিরাজ, বাবুল রানা ও মিনহাজকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই তরুণীকে ওসিসিতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন।শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরর গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।২৭ অক্টোবর রাতে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন ওই তরুণী। এ সময় দায়িত্বরত আনসারদের একজন তাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ছয় জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। কামাল নামের এক ব্যক্তি ২৯ তারিখে ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করে।এদিকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ টি এম মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হক। তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল থেকে ১৪ আনসার প্রত্যাহার
November 3, 2016