একাত্তরলাইভডেস্ক: ডাকাতি করা টাকা সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা।ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।মনিরুল ইসলাম বলেন, জেএমবি ১৯৯৮ সালে দল গঠন করে। ২০০২-২০০৪ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করে। একজন জাল টাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করেছিল জেএমবি।গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আপনারা জানেন আফগানিস্তানে হেরোইনের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তালেবান। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে মাদক ব্যবসা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক রোকনউদ্দীন। তিনি প্রায় ৮০ লাখ টাকা দিয়েছেন। রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদুল ইসলাম মুরাদ তার পেনশনের টাকা দান করেছেন। এ ছাড়া পুরান ঢাকার আজিমপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত তানভির কাদেরি তার উত্তরার ফ্লাট বিক্রি করেও গুলশান হামলায় অর্থ সহযোগিতা করেছেন।গতকাল সোমবার দিনগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।জুন মাসে বনানী থানায় ও অক্টোবর মাসে তেজগাঁও থানায় দুটি ডাকাতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই সাতজনের সন্ধান পায়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। তারা বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুণ্ঠন করে। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তারা ডাকাতি করে থাকে।গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- কাশেম ওরফে কাউছার ওরফে কাশু (২০), নাজমুল হাসান ওরফে নয়ন ওরফে নরেশ (২৩), রাশেদ ওরফে কাকলির বাবা (২৭), সেন্টু হাওলাদার ওরফে জাহিদ (২৬), আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শুভ ওরফে আকাশ (২০), আবদুল বাছেদ (২২) ও জুয়েল সরকার ওরফে সোরহাব ওরফে সরকার (৩২)।তাদের কাছ থেকে ৬৭ ভরি স্বর্ণ, চারটি পিস্তল, পাঁচটি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ছয় লাখ ৮৮ টাকা, নয়টি চাপাতি, দুইটি রামদা, ১০টি মোবাইল, দুইটি টিভি, চারটি ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের আটটি কেমিক্যালের বোতল, বিভিন্ন ধরনের তিন প্যাকেট রাসায়নিক পাউডার, চারটি স্বর্ণ মাপার যন্ত্র, দুইটি ল্যাপটপ, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ইমিটেশন বক্স উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতির টাকা জেএমবির কাজে ব্যয়

October 18, 2016