ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নতুন অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নতুন অভিযোগ এনেছেন দুই নারী। অ্যাপ্রেন্টিস প্রতিযোগী সামার জারভোস অভিযোগ করেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেলে ট্রাম্প তাকে টার্গেট করেন এবং তার স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করেন। ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন নামে আরেক নারী অভিযোগ করেছেন, ১৯৯০-এর দশকে নিউ ইয়র্কে একটি ক্লাবে ট্রাম্প তার শরীরে হাত দেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগের পালায় নতুন করে নাম লেখালেন সামার জারভোস ও ক্রিস্টিনা অ্যান্ডারসন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও তার সুনামহানির অপচেষ্টা।’বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৪৬ বছর বয়সি অ্যান্ডারসন তার অভিযোগে বলেছেন, নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে একটি ক্লাবে একদিন রাতে তিনি মডেলিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় ট্রাম্প তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন। এতে তিনি ‘ভীষণ লজ্জা ও আতঙ্ক’ বোধ করেন। অ্যান্ডারসনের ভাষায়, ট্রাম্পের চুল ও ভ্রুযুগল ভয়ংকর রকমের। তার মতো ভ্রুযুগল আর কারো নেই। ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না হয়তো। তিনি যে এ কাজ করতে পারেন- এটিই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন শুধু। অর্থাৎ ট্রাম্পের আচরণই এমন। ২০০৬ সালের সুন্দরীদের প্রতিযোগিতা অ্যাপ্রেন্টিস সিজন ৬-এর প্রতিযোগী জারভোসকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন ট্রাম্প। এ সুযোগে তাকে যৌন হেনস্তা করেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলেসে এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে জারভোস জানান, ২০০৭ সালে ট্রাম্প তাকে বেভারলি হিলস হোটেলে ডেকে নিয়ে জোর করে তার মুখে চুমু দেন, তার সঙ্গে আরো নোংরা আচরণ করেন ট্রাম্প।এদিকে বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে জেসিকা লিডস ও র‌্যাচেল ক্রুকস নামে দুই নারী অভিযোগ করেন, ট্রাম্প তাদের যৌন হয়রানি করেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এল আরো দুই অভিযোগ। ট্রাম্প ও তার প্রচারশিবির এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে অভিযোগকারীরা প্রমাণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন তার বিরুদ্ধে।