টাইটান্স হবে খুলনার মানুষের টিম : কাজী ইনাম

একাত্তরলাইভডেস্ক: বিরতি দিয়ে শুরু হওয়ার পর বিপিএলের তৃতীয় আসরে খুলনা নামে কোন দল ছিল না। আক্ষেপ ছিল খুলনাবাসীর, ছিল দু:খও।তবে এবার সে আক্ষেপ থাকছে না। বিপিএলের চতুর্থ আসরে অংশ খুলনা টাইটান্স নামে অংশগ্রহণ করছে খুলনার দলটি। শুধু অংশগ্রহণই নয়, খুলনাকে নিয়ে নানা পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। বিপিএলে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি, খুলনার খেলাধুলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় জেমকন গ্রুপের খুলনা টাইটান্স। শুধু তাই নয়, খুলনার সাধারণ মানুষকেও স¤পৃক্ত করতে চায় টাইটান্সের সাথে।খুলনা টাইটান্সের ব্যবস্থপনা পরিচালক ও বিসিবি পরিচাল কাজী ইনাম আহমেদের মতে টাইটান্স হবে খুলনার মানুষের টিম। আগামী শুক্রবার খুলনাতেই বড় আয়োজনে সে সব কথা জানাবেন তারা। গতকাল শনিবার সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন তিনি।খেলাধুলার উন্নয়নে সব সময়ই কাজ করে আসছে জেমকন গ্রুপ ও তাদের পরিবার। খেলাধুলার সাথে পারিবারিকভাবেই তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানান কাজী ইনাম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমারা বাবা (কাজী শাহেদ) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা আবাহনীর সাথে জড়িত, আমার বড় ভাইও (কাজী নাবিল আহমেদ) খেলাধুলার সাথে স¤পৃক্ত। গত বছর যখন বিপিএলে খুলনা নামের কোন দল পাওয়া গেল না, তখন খুলনার মানুষ হিসেবেই আমাদের খারাপ লেগেছে। আর তখন থেকেই বিপিএলে খুলনা দলটিকে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। অবশেষে এ বছর আমরা খুলনাকে বিপিএলে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’খুলনা টাইটান্সে বড় তারকা বলতে শুধুই মাহমুদুল¬াহ। তবে কি খুলনা দল কাগজে কলমে একটু দুর্বল হয়ে গেল? মানতে চাইলেন না এ পরিচালক। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের দলের দিকে তাকালে হয়তো তেমন বড় তারকা পাওয়া যাবে না, তবে যারা আছে তারা সবাই অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত। মাহমুদউল্ল¬াহ রিয়াদ অত্যন্ত দক্ষ অধিনায়ক। তার নেতৃত্ব খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অলক কপালি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, গত মৌসুমে বিপিএলের ফাইনালেও তার পারফরমেন্স ছিল নজড়কাড়া। ভরসা করা যায় তার উপর। শফিউল বর্তমান জাতীয় দলের স্কোয়াডে আছে। সেও ভালো করছে। শুভাগত হোমও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে আগে। আমাদের বিদেশি কোটার খেলোয়াড়ও তেমন বড় তারকা নয়। তবে এরা সবাই পরীক্ষিত। বিশেষ করে কেভিন কুপার, নিকোলাস পুরান পরীক্ষিত। রিকি ওয়েসেলস এবার তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এছাড়া পাকিস্তানের জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ আসগরও আছেন। তবে আমাদের আসলে প্লেয়ার ড্রাফটে সুযোগ ছিল কম। হয়তো আরও নামিদামি খেলোয়াড় নেয়া যেত। বিশেষ করে যদি প্রতিটি দলে তাদের বিভাগের দু’জন খেলোয়াড় থাকবে এমন হলে খুলনা টিম সব থেকে সেরা হত। তবুও সব মিলিয়ে দল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমাদের লক্ষ অবশ্যই শিরোপা। মাঠে খেলোয়াড়রা সেরাটা দিতে পারলে শিরোপা অর্জন সম্ভব।এই দলের সাথে হাবিবুল বাশার সুমন আছে বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘তার অনুপ্রেরাণায় দল অনেকটা এগিয়ে যাবে।’তবে শুধু বিপিএল নয়, খুলনার ক্রিকেটের উন্নয়নেও নানা পরিকল্পনার কথা বললেন টাইটান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় যে ক্রিকেট লিগ হয়, সেটাকে আমরা সাপোর্ট দিব। খুলনা টাইটান্স একটি ক্রিকেট একাডেমিও করতে চায় খুলনায়।’এর আগে যখন খুলনাতে বিপিএল টিম ছিল তখন খুলনার মানুষের সাথে তাদের একটা দুরত্ব ছিল, তবে এবার আর তেমন হবে না বলে জানান তিনি। বলেন, ‘খুলনার মানুষকে আমরা টাইটান্সের সাথে সম্পৃক্ত করব। এটা আমার বা জেমকন গ্রুপের টিম নয়। এটা খুলনার মানুষের টিম। খুলনাবাসীর সমর্থন পেলে এ দলটি সাফল্য পাবেই। তিনি আরও বলেন, ‘খেলা চলাকালীন সময়ে খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আশা করছি খুলনার মানুষ তাদের দলকে পূর্ণ সহায়তা দিয়ে সফলতা এনে দিবে।’