টাইটানিক নিয়ে আগেই শঙ্কা ছিল

একাত্তরলাইভডেস্ক: টাইটানিক জাহাজ নিয়ে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলেছিল, এটি ‘আনসিংকেবল’ অর্থাৎ ‘কখনো ডুববে না’। তবে যাত্রা শুরুর মাত্র ৫ দিনের মাথায় ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি।রয়্যাল মেল স্টিমার টাইটানিক সংক্ষেপে টাইটানিক জাহাজটি নিয়ে এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হল্যান্ডের ‘হোয়াইট স্টার লাইন’ নিঃসংশয় থাকলেও এর সেকেন্ড ক্যাপ্টেন হেনরি ওয়াইল্ড কিন্তু ঠিকই আশঙ্কায় ছিলেন।হেনরি ওয়াইল্ড তার ২০ বছরের নাবিক জীবনে এডওয়ার্ড স্মিথ নামের এক ক্যাপ্টেনকে বহু চিঠি লেখেন। সেগুলোর শেষ চিঠিতে জানা যায়, হেনরি টাইটানিকে যোগ দিতে চাননি। টাইটানিকে যোগ দেওয়ার আগে হেনরিকে ‘সিমরিক’ নামের একটি জাহাজের প্রধান ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তাকে টাইটানিকে সেকেন্ড ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। টাইটানিককে ‘অশুভ’ মনে করতেন হেনরি। মনের বিরুদ্ধে তিনি টাইটানিকে যোগ দেন।সম্প্রতি হেনরি ওয়াইল্ডের লেখা একটি চিঠি যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারে নিলামে ওঠে। চিঠিটি বিক্রি হয় ২২ হাজার পাউন্ডে। চিঠিটি হেনরি লেখেন টাইটানিকে দায়িত্বরত অবস্থায়। বোনের কাছে লেখা চিঠিতে টাইটানিক নিয়ে যে তার আশঙ্কা ছিল, সেটি প্রকাশ করেন হেনরি। তিনি লেখেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জাহাজটি পছন্দ করতে পারছি না…জাহাজটি নিয়ে আমার অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে।’উল্লেখ্য, হিমশৈলের সঙ্গে সংঘর্ষে টাইটানিক ডুবে যায়। এতে যাত্রী-নাবিক মিলে প্রায় ১৫০০ জন মারা যান।হিমশৈলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর হেনরি জাহাজের সারেং আলবার্ট হেইনস ও স্যামুয়েল হেমিংসের সঙ্গে কথা বলেন। তারা ওয়াইল্ডকে জানান, তারা জাহাজের ট্যাংক থেকে বাতাস বের হওয়ার শব্দ শুনেছেন এবং জাহাজে পানি প্রবেশের শব্দ পেয়েছেন।নিলামকারী অ্যান্ড্রু অলড্রিজ বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে টাইটানিক সম্পর্কিত চিঠিগুলোর মধ্যে অন্যতম। টাইটানিকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন বড় নাবিক এই চিঠিটি লিখেছেন।’তিনি আরো বলেন, ‘এটি টাইটানিক সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য বহন করে। চিঠিতে টাইটানিক সম্পর্কে হেনরির স্পষ্ট হতাশা ফুটে উঠেছে। জাহাজের দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে যান তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি যে, দুর্ঘটনায় হেনরিও মারা যান। তবে মৃত্যুর আগে তিনি অন্যদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন।’