অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা রয়েছে। দেশি-বিদেশি একটি মহল অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি, জ্বালাও পোড়াও ও নৈরাজ্যের সামান্য চেষ্টা হলেও কঠোরভাবে দমন করা হবে।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র্যাব পুলিশসহ সকল বাহিনী মিলে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক নিরাপত্তা থাকবে। মোবাইল টহল টিম থাকবে, স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ থাকবে। নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাররা যেন নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোবাইল টহল চলছে। ভোট চলাকালে কোনো ধরনের যাতে গোলযোগ, পেশীশক্তির ব্যবহার যাতে না হয়, কেউ যেন পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। আমাদের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
ভোটার, প্রার্থী ও প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের কোড অব কনডাক্ট মেনে চলব। কারো নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ আসনের ব্যাপারে পুলিশের পরিকল্পনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেকটা নির্বাচনে কিছু ঝুঁকি থাকে। প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট অনেক ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও বলপ্রয়োগ করে থাকেন। সেই বিবেচনায় আমরা কিছু কিছু কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেছি। সবকিছু মিলেই কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়ে থাকে। তবে ওই অর্থে ঢাকার কোনো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ, ঝুঁকি থাকলেও তা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
মো. আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, এই নির্বাচন শুধু সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধির বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা সকল বাহিনীর সাথে চমৎকার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। তবে একটি অবাধ, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ ভীতিহীন ও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নয়, এ দায়িত্ব প্রত্যেকটি নাগরিকের।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেররিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার কৃঞ্চপদ রায়, আব্দুল বাতেন ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারসহ শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।