ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে পুলিশের মাদক বাণিজ্য চরমে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে থানা পুলিশ বিভিন্ন অনিয়ম,দূনিতি, মাদক ব্যবসায়িদের ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। কালীগঞ্জ থানার দু.জন এএসআই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাধারন মানুষ ও মাদক ব্যাসায়িদের ধরে এনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। জৈনিক মুরগি ব্যবসায়িকে ইয়াবা মুরগির খাচার মধ্যে ইয়াবা ঢুকিয়ে মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করেছে। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।এদিকে শুক্রবার বিকালে কালীগঞ্জ নদী পাড়া এলাকার জুয়েল নামের ইয়াবা সেবন কারিকে এএসআই রবিউল ইসলাম তাকে আটক করে বিকাল ৪ টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।

পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে নদীপাড়া এলাকার ডলার মিয়া নামে এক ব্যাক্তি ঢাকা থেকে তার দু,জন বন্ধু বেড়াতে আসে ডলারদের বাড়িতে। কিন্তু এএসআই রবিউল ইসলাম তাদের প্রাইভেট কারটি প্রথমে নতুন বাজার এলাকায় তল্লাসি করে কিছু না পেয়ে ছেড়ে দেয়। পরে প্রাইভেট কারটি মোচিক তেল পাম্পে তল নেবার সময় এএসআই দু,জন কনেষ্টবল নিয়ে মোচিক তেল পাম্পে গিয়ে প্রাইভেটের মধ্যে ১০ টি ইয়াবা ফেলে দিয়ে প্রচার করে তোর গাড়িতে ইয়াবা রয়েছে। পরে তাদের সাথে আতাত করে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার অপর বহুল আলোচিত এএসআই কবির হোসেন আবার ও ইয়াবা দিয়ে মুরুগি ব্যবসায়ির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মুরুগি বিক্রেতা সেলিম হোসেন সাইকেলে পিছনে খাচায় ফেরি করে মুরগি বিক্রি করে বেড়াচ্ছিল। এসময় এএসআই কবির মুরগি কিনবে বলে তাদের দাড়াতে বলে। সেলিম দাড়ানো মাত্রই তার মুরগি খাচার মধ্যে এক পাতায় ১০ টি ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। এএসআই কবির মুরগি দেখতে দেখতে বলে তোর মুরগি খাচার মধ্যে কি, বের করে দেশে ১০ টি ইয়াবা। সেলিম কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাবার ভয় দেখিয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সে রক্ষা পায়।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশ এখন মাদকের ব্যবসায়ি ও সেবন কারিদের নিকট থেকে অর্থ বানিজ্য নিয়ে ব্যাস্থ হয়ে পড়েছে। কালীগঞ্জ থানার বহুল আলোচিত এএসআই কবির হাবির ওসমান কে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি ওসি আসিনুল ইসলামের মাধ্যমে সমঝোতা হয়ে ও এএসআই কবির ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায়। ইদানিং এএসআই কবির ও এএসআই রবিউল ইসলাম মাদক ব্যবসায়ি ও সেবন কারিদের ধোনে ছেড়ে দেওয়া তাদের প্রধান ব্যবসায় পরিনত হয়ে পড়েছে।

এএসআই কবির ও এএসআই রবিউল ইসলাম কালীগঞ্জে যা শুরু করেছে তাতে করে পুলিশের মর্যাদা ক্রমান্বয়ে ভেংড়ে পড়ছে। প্রচার আছে এএসআই কবির ও এএসআই রবিউল ইসলাম অবৈধ টাকা আয় করলে ওসি সাহেব কে ভাগা দিয়ে থাকেন। এ কারনে ওসি তাদের কিছু বলার সাহস রাখে না। রাতে ডিউটি রত পুলিশের গাড়ি মেইন বাসষ্টান্ডে রাত ১২/১ টা পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকে। সড়কে ডাকাতরা গাছ কেটে ডাকাতির চেষ্টা ও ছিনতাই হলে ও তারা তেমন ভাবে কোন কিছুর খোঁজ রাখে না। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নীরব হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে অনেক কিছু শুনি কিন্তু সব কিছু বলা যায় না ।