ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ফেল করে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছ থেকে জোর করে, বিভিন্ন প্রকারের হুমকি-ধামকির মাধ্যমে প্রার্থীদের দেওয়া শাড়ী ও টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক মেম্বর পদে ভোটে দাড়িয়েছিলেন। মোজাম্মেল হক ভোটে জয়লাভ করার স্বার্থে বিভিন্ন মেম্বর ও চেয়ারম্যাদের বড় অংকের টাকা দিয়েছেন।
ভোট নেয়ার জন্য মোজাম্মেল হক লাখ লাখ টাকা মেম্বর চেয়ারম্যানদের দিয়ে ভোট কিনার পরে নির্বাচন শেষে দেখা গেছে মোজাম্মেল হককে ল্যাঙ মেরে আশরাফুল আলম মাষ্টার ভোটে জয়লাভ করেছেন। লাখ লাখ টাকা খরচ করে মোজাম্মেল হক ভোটে ফেল করে ক্ষিপ্ত হয়ে, তার হাতিয়ার বৈডাঙ্গা চাঁদপুরের মিন্টু মেম্বর দ্বারা বিভিন্ন মেম্বরদের হুমকি-ধামকি দিয়ে তার ভোট কেনা টাকা আদায়ের জোর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মেম্বরদের মধ্যে সাগরীকা পারভিন, শিউলি, পারুল ও মরিয়ম সাংবাদিককে জানিয়েছেন, ভোটের পূর্বে মোজাম্মেল হক ও তার লোকজন আমাদের ১২ জন মেম্বর প্রতি দশ হাজার করে টাকা ও খাওয়া-দাওয়া দিয়েছেন। মোজাম্মেল হক বলেছেন, এমপি মহদয় আপনাদের কোন সম্মানি দিতে সুযোগ পাননি ভোটের এই সুযোগে ঝিনাইদহের এমপি তাহাজিব আলম সিদ্দিকী সমি উক্ত টাকা-পয়সা ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য।
আমরা টাকা পয়সা নিতে ও খাওয়া-দাওয়া করতে অস্বিকার করলে এমপি মহদয়ের ভয় দেখিয়ে জোর করে আমাদেরকে টাকা-পয়সা দেন ও খাওয়া-দাওয়া করান। ভোটে ফেল করার পরপরই মোজাম্মেল ও তার লোকজন জোর যবরদস্তি করে আমাদের কাছথেকে সমস্ত টাকা পয়সা আদায় করে নেন ও আমাদের বসত বাড়ী ভাংচুর করে। সাথে-সাথে আমাদের বিভিন্ন প্রকার অশ্লিল গালি-গালাজ ও প্রতিনিয়ত অপমান করেই চলেছে।
এরই মধ্যে ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা বাজারের উত্তর নারায়ন পুরের সাগরীকা পারভিন মেম্বর, ডাকবাংলা বাতপুকুরের মরিয়ম মেম্বর, সাগান্না ইউনিয়নের শিউলি মেম্বর, হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের মহিলা মেম্বর পারুল সহ ১২ জন মেম্বরের নিকট থেকে হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে (২৯শে ডিসেঃ) বৃহস্পতিবার রাতে দশ হাজার টাকা ফেরৎ বা আদায় করেছেন বলে ভুক্তভুগী মেম্বরদের সুত্রে জানা গেছে। এ দিকে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ডব্বা খাওয়া প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট কেনার জন্য কত টাকা কিভাবে দিয়েছে তার হিসাব নিকাশ শেষ পর্যায়ে।
আর এই টাকা-পয়সা ফেরতের জোর প্রক্রিয়া চলছে, ভোট কেনার টাকা আদায়ের ঘটনায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। ভোট কেনা টাকা-পয়সা আদয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব নেবে কে ? ঝিনাইদহের বিজ্ঞ মহল বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংখা প্রকাশ করেছেন বলে বিভিন্ন তথ্য সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের ফেল করা মেম্বর মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ভোট কেনা বা ভোট কেনার টাকা ফেরৎ নেওয়ার বিষয়টি অস্বিকার করেছেন।