প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার ৬ টি উপজেলাতে প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এই ইটভাটা গুলির মধ্যে অনেক ভাটা জনবসতি পূর্ণ, আবাদ যোগ্য কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে। সেই সাথে প্রায় প্রতিটা ইটভাটাই অবাধে গিলে খাচ্ছে সবুজ বৃক্ষরাজী, পুড়ছে গাছপালা। গাছ পোড়ানর কাল ধোয়া একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি করছে অপর দিকে ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মাটি কেটে গর্ত করে প্রতিনিয়ত আবাদি জমি ধ্বংস করছে। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এই ভাবে দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে গাছপালা পুড়িয়ে যাচ্ছে অথচ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে এ নিয়ে হতাশ হচ্ছে ঝিনাইদহের আমজনতা সাথে সাথে জন মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কেন নিরব?
ঝিনাইদহ জেলা শহরের অতি নিকটে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা রাস্তার ধারে নগর বাতান, হলিধানি, ডাকবাংলা, ঝিনাইদহ থেকে হরিনাকুন্ডূ রাস্তার ধারে চাঁদপুর, সাধুহাটি হয়ে হরিনাকুন্ডূ পথে ইটভাটা গুলোতেতে অবাধে পুড়ছে জ্বালানী মধুবৃক্ষ সহ বিভিন্ন ধরনের কাঠ। তাছাড়া সদরের মধপুরের আশপাশের ইট ভাটা, গোয়ালপাড়া, বাকড়ি, ছালাভঁরা সহ বিশ্ব রোডের পাশে অবস্থিত ইটভাটা গুলোতে দেখতে পাবেন কাঠ পুড়ানোর ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দেখলে মনে হয় দেশের ইটভাটা গুলো কি অবাধে কাঠ পোড়ানোর অনুমতি পেয়ে গেছে? অথচ ঝিনাইদহের প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে দেখেও না দেখার ভান করে আছে।
বিভিন্ন ভাটা মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে ভাটা মালিকরা সকলে মিলে সমিতি করেছে। সমিতির কাজ হল প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে নামমাত্র টাকায় কাঁচা গাছপালা কিনে ভাটায় আট পোড়ানো কাজে ব্যাবহার করছে, পুড়ছে গাছপালা, শেষ হয়ে যাচ্ছে বৃক্ষরাজী। এভাবে চলতে থাকলে একসময় পরবর্তী প্রজন্মরা অক্সিজেনও পাবে কিনা সন্দেহ আছে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন দিবস গুলিতে ভাটা মালিকেরা বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকেন। যাহার কারনে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই গুলি হলেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।
ইটভাটায় গাছ পালা পোড়ানর সুযোগে গ্রাম অঞ্চলের রাস্তার পাশের সবুজ বনায়ন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসাহিরা কেটে ছয়লাব করে দিচ্ছে। অনেক জাইগাতে টিনের তৈরি চিপনি ও অবাধে ব্যবহার হচ্ছে। যেমন শৈলকূপা পৌরসভার মধ্যে ৩ টি টিনের চিপনি ভাটা আছে। তাহা ছাড়া গ্রাম অঞ্চলে বেশ কিছু এই প্রকৃতির ইট ভাটা দেখতে পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে জৈনিক ভাটা মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাটায় কাঠ পোড়ালে ইটের তৈরি বড় চিপনির এক লক্ষ টাকা জরিমানা আবার টিনের তৈরি চিপনির জরিমানা এক লক্ষ টাকা। সে ক্ষেত্রে ইট দিয়ে বড় চিপনি করতে অনেক টাকা খরচ হয়। তাই টিনের তৈরি চিপনি ভাটাই ব্যবহার করছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, আমারা মোবাইল কোর্ট করছি যেটা যেটা সামনে পড়ে সে গুলির ব্যবস্থা নিচ্ছি।