অনলাইন ডেস্ক : আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের চারজন জাতীয় নেতা সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আ হ ম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বরারবরই দিবসটি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও দিবসটি পালন করতে চায়। তবে এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বিএনপি কখনোই দিবসটি পাল করেনি। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন ও তার দল গণফোরাম, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠান করবে বলে জানা গেছে। সেই অনুষ্ঠানে ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলোকে ডাকবে তারা। তবে ওই অনুষ্ঠান নিয়ে বিব্রত বিএনপি। বিষয়টিকে বিএনপি কিভাবে নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
এদিকে বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ ঘটা করে ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবস উদযাপন করতে চায়। এ নিয়ে তারা প্রস্তুতিও শুরু করেছে। বিএনপি মনে করে ৭ নভেম্বরই তাদের ‘প্রাণ ভোমরা’। এটাই তাদের উদযাপনের সবচেয়ে বড় দিন। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক জেএসডি মনে করে, ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী জনতার বিপ্লব দিবস’। প্রতিবছর শুধু আ. স. ম. আবদুর রবই নন, জাসদের সব ভগ্নাংশই এই দিনটি এভাবেই পালন করে। বিএনপি মনে করে, ৭ নভেম্বরের মূল নেতা জিয়াউর রহমান। আ. স. ম. আবদুর রব মনে করেন কর্নেল (অব.) তাহের। জেএসডি মনে করে এই দিনের ‘বিপ্লব’ কে জিয়া হাইজ্যাক করেছে। অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেনরা ৭ নভেম্বরকে আওয়ামী লীগের মতোই সৈনিক হত্যা দিবস মনে করে।
গণফোরাম অবশ্য প্রতিষ্ঠার পর কখনো ৭ নভেম্বর উদযাপন করেনি। এখন ড. কামাল হোসেন কি করবেন, তিনি কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক হিসেবে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে জিয়ার কবর জিয়ারত করবেন? বিএনপির অনুষ্ঠানে গিয়ে বলবেন, ‘জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।’ জেএসডির নেতা আ. স. ম. আবদুর রবই বা কী করবেন? অন্যদিকে, বিএনপির জন্যও ৩ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অস্বস্তিকর।