জিয়াউর রহমান ছিলেন বিশ্বনেতা—বেলজিয়াম বিএনপি

জাকির হোসেন সুমন ,  ইতালী  :  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  বেলজিয়াম বিএনপির আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের একটি হল রুমে।

বেলজিয়াম  বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ গ্রহণ করেন।

বেলজিয়াম বিএনপি’র সভাপতি আহমেদ সাজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবুর পরিচালনায়।

আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেট ইউনিয়নের এশিয়া অঞ্জলের প্রধান মিঃ সিজার রসেললো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়ামের সোস্যালিস্ট ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ফিলিপ উইরি ।

বেলজিয়ান এমআর পার্টির নেতা জুনিয়র আশিল
বেলজিয়াম- ইক্সেল মিনিসিপালটির কাউন্সিলর মিসেস স্লোনাগে পিটরইফ সহ বেলজিয়ামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেট ইউনিয়নের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান সিজার রসেললো বলেন,জিয়াউর রহমান কেবল বাংলাদেশের নেতা নন।তিনি ছিলেন একজন বিশ্বনেতা।  প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের সর্ববৃৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বাংলাদেশের  রাজনীতির ইতিহাসে  পাঁচ বার রাষ্টীয় ক্ষমতায় জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে এসে। দেশের উন্নয়ন উৎপাদনে এক বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন দলের প্রতিষ্টাতা শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান বিশ্ব নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন তার ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্য কর্ণধার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বর্তমানে বিশ্ব নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন । আশা করি বিএনপি কিছু দিনের মধ্য আবারো রাষ্টীয় ক্ষমতায় আসবে।

অতিথি বৃন্দ তাদের বক্তব্য বলেন দেশের মুক্তি, গনতন্ত্র, ব্যাক্তি,বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান ছিলেন সোচ্চার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্টানে ও ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রন করে যে সম্মানিত করেছেন এই জন্য  বেলজিয়াম বিএনপির নেতৃবৃন্দ কে ধন্যবাদ জানান।

বেলজিয়াম বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য  বলেন , শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি সৃষ্টি করে ১৯ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্মান জনক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একদলীয় শাসন থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। স্বল্প সময়ের শাসনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। আইনের শাসন,যোগ্যতার সাথে প্রশাসন ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সারা পৃথিবীর কাছে শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমান’র শাসনামল ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ।দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা উনাকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাঁর আদর্শের পতাকাবাহী বিএনপি আজ  দেশে বিদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন তিনি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।আজকে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এই সরকার যে পাঁয়তারা করছে তা কখনও সফল হবে না। এ দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ লোক বিএনপিকে সমর্থন করেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা পৌছে দেয়ার দাবী জানানো হয়।

আলোচনা শেষে ইফতারের  পুর্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ মোনাজাতে জিয়াউর রহমান ছাড়াও তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করেও দোয়া করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়াম বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান,, হেলাল মিয়া,মুনসুর

আলী,সহসভাপতি সৈয়দ মাহমুদ আক্কাছ,সহসভাপতি গোলাম নবী শ্যামল,সহসভাপতি হাসান রাকিব প্রধান,সহসভাপতি আবু বক্কর,সহসভাপতি কবির মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নুর শামীম,যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীন হারুন অর রশিদ,যুগ্ম সম্পাদক আশিক আহমদ বাপ্পী,সহ যুগ্ম সম্পাদক হাসান লিটন,সহ যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ,সহ যুগ্ম সম্পাদক তাহসিক হক উসমান,সহ যুগ্ম সম্পাদক স্বপন হোসেন,সহ যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ

দিপু,সহ যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম চৌধুরী,সহ যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মিয়া,সহ যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল ইসলাম,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান,কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল আহমদ,দপ্তর সম্পাদক ফখরুল হোসেন পাপন,সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃমাহমুদুল হক মমো,প্রচার সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সানি সহ প্রচার সম্পাদক নুর নবী মিনু,তথ্য ওগবেষণা সম্পাদক

শহিদুল মিয়া,ক্রীড়া সম্পাদক বাবুল হাসান,,প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক এমডি ইলিয়াস,সহ প্রবাসী সম্পাদক আশিক উদ্দিন,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বাতেন মার্টিন,মানবাধিকার সম্পাদক হাওলাদার মিজান,সহ মানবাধিকার সম্পাদক খন্দকার করিম চৌধুরী,সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সোহেল মিয়া,সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন,সহ সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন,আপ্যায়ন সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম সদস্য জাহাঙ্গীর,হারূন,হেলাল,ববি,মাসুদ, ,বশির,নজরুল,রুহেল, রেজা,খসরু,তানভীর,খাশেম, মোস্তাফা,বুলবুল,সজিব,কামরুল, ফয়ছল,দিদারুল,সাকি,মুরশেদ প্রমুখ।