জাতীয় সমবায় দিবস আজ

একাত্তরলাইভডেস্ক: জাতীয় সমবায় দিবস আজ।জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। একক প্রচেষ্টায় যা করা অসম্ভব, সমবায় পদ্ধতিতে তা সহজেই করা সম্ভব। দিবসটি এবার ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস হিসাবে উদযাপিত হচ্ছে।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন’।সরকারী-বেসরকারীভাবে দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।প্রাচীনকাল থেকেই সমবায় বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।সমবায় জনগণের সংগঠন। বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রসার ও প্রযুক্তির বিপ্লব আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে নবতর সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ  ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণীতে  বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তিনি বিশ্বাস করতেন তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা তখনই সম্ভব যখন উৎপাদন যন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হবে জনগণ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ১৩নং অনুচ্ছেদে সমবায়ীসহ মালিকানা ব্যবস্থার কাঠামো সন্নিবেশিত করেছিলেন । রাষ্ট্রপতি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক সূচকগুলোতেও বাংলাদেশের সাফল্য অন্য যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুসরণীয়। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তিনি নতুন উদ্যোগে আধুনিক প্রজন্মের সমবায় সমিতি গঠন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণীতে  বলেন,  ‘এ মুহূর্তে আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে।’আওয়ামী লীগ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও ‘আশ্রয়ণ’সহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সহায়-সম্পদহীন মানুষের আবাসন ও র্কসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে সমবায় পদ্ধতির সম্প্রসারণকল্পে থানা পর্যায়ে পল্লি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। জাতির পিতা দেশের দুগ্ধ চাহিদা পূরণের জন্য সমবায়ের ভিত্তিতে দুগ্ধ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের লক্ষ্যে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেন।