একাত্তলাইভ ডেস্ক: দুর্নীতির মামলায় জনতা ব্যাংকের দুই উপমহাব্যবস্থাপককে(ডিজিএম) গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলের জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ডিজিএম আজমুল হক ও এস এম আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারিতে জনতা ব্যাংক থেকে ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাত মামলা চার্জশিটভুক্ত আসামি তারা।দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম, মো. আহমেরুজ্জামান, গোলাম শাহরিয়ার ও জালাল উদ্দিন। টিম নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক।এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে দুদক।এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৪৬ কোটি ৫৫ লাখ ও ১৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা (মোট ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ) আত্মসাতের পৃথক দুই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জনতা ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তা।বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৫৩ আসামির মধ্যে ১৩ জন আসামি বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ৪০ জন আসামি জনতা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা।বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেড ১৮৪ কোটি। মামলাগুলো ফান্ডেড (৯৯০ কোটি) অংশের হয়েছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ভবন করপোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি এবং এলিফেন্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা।বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি। যার বর্তমানে পলাতকহিসেবে বিদেশে অবস্থান করছেন।
জনতা ব্যাংকের দুই ডিজিএম গ্রেপ্তার

October 6, 2016