অনলাইন ডেস্ক: জ্বালানি খাতে সরকারের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণেই গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, জনগণকে একেবারে জিম্মি করে তাদের পকেট কেটে বড় বড় অংকের বাজেট দিচ্ছে তারা (সরকার)। জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বুধবার উত্তরার আমিন কমপ্লেক্সের কাছের সড়কে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিরতণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার পর্যায়ক্রমে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, তেলের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, তখনও এরা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যটা হলো, তারা (সরকার) দুর্নীতি করছে জ্বালানি খাতে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়গুলোতে দুর্নীতির ফলে প্রচুর পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে, সেটাকে কাভার করার জন্য তারা জনগণের পকেট কেটে, জনগণের কাছ থেকে বেশি দাম নিয়ে সেটা পূরণ করতে চাইছে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে গ্যাসের বর্ধিত দাম আবার চালু হচ্ছে। এই রায়ের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে জনগণ যে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, জনগণের আয়ের ওপরে যে চাপ পড়ছে, জনগণের প্রকৃত আয়টা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে, আজকে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
সরকারের দাবি করা অর্থনৈতিক অগ্রগতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির শ্লোগান, এটা যে সম্পূর্ণভাবে একটি মিথ্যা, বানোয়াট শ্লোগান, সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে।
প্রবৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা বার বার বলছি, বিশ্বব্যাংক যে প্রবৃদ্ধির হার বলেছে, সেই হারের সঙ্গে সরকারের প্রবৃদ্ধি অনেক কম অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক বলেছে, অনেক কম হবে, ৬ দশমিক ৮ বলেছে। সরকার বলছে যে সেটা ৭ এর ওপরে হবে। যেটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে কাল যে বাজেট দেওয়া হবে, সেই বাজেটের পরিমাণ এত বড় যে, বরাবরই তারা বড়ো করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এইটার একটা উদ্দেশ্য- তারা ফাঁপা একটা আওয়াজ তৈরি করে। গত বাজেটের ৫৫ ভাগ এখন পর্য়ন্ত তারা বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। এখন আবার বড় বাজেট দেওয়ার অর্থই হচ্ছে যে, তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে বলবে যে, আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনেক বেশি করছি। এটাই মূল উদ্দেশ্য।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি তুলে বিএনপি নেত্রী বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধ করতে হয়, তাহলে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের এবং তাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলাগুলো তুলে নিতে হবে।
এ সময়ে ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান উপস্থিত ছিলেন।