একাত্তরলাইভডেস্ক: চাল বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগে সারা দেশে তিন খাদ্য পরিদর্শক, ইউপি চেয়ারম্যান, ডিলার ও মেম্বারসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর ও শরিয়তপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হতদরিদ্র না হওয়া সত্বেও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা দরে বিক্রি ও খোলাবাজারে পণ্য বিক্রিতে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে দুদক। এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্রদের মাঝে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা দরে বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগের মামলায় শরিয়তপুরের সুবচনির হাটের ডিলার মো. সহিদুল সিকদার, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রায়পুরের ডিলার মো. ফিরোজ খান, চন্দ্রপুর বাজারের ডিলার দবীর তালুকদার ও মাহমুদপুর বাজারের ডিলার আলী হোসেন খানকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন। একই অভিযোগে ময়মনসিংহের ৩ নং ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আজিম উদ্দিন ও মো. আমিরুল ইসলাম এবং ডিলার মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান। ওই অভিযোগের মামলায় দিনাজপুরের শালমারা গ্রামের বাসিন্দা মো. রশিদুল ইসলাম, নীলফামারীর শালনগরের বাসিন্দা বনমালি রায়কে গ্রেপ্তার করেন দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে আরো জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওএমএস ডিলারদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগের মামলায় চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক এস এম শাহাবুদ্দিন, শাহনেওয়াজ ও সুরজিত দে এবং ডিলার সৈয়দ মো. মারুফ ও মো. জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। অন্যদিকে এলজিএসপি প্রকল্পের কাজের জন্য জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৪ নং মীমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুস (পলাশ) ও ১৮ জন হতদরিদ্র লোকের কাছ থেকে ২ মাস বিতরণ দেখিয়ে কার্ডে টিপসই নিয়ে চাল বিতরণ না করে ৫৪০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
চাল বিক্রিতে দুর্নীতি, গ্রেপ্তার ১৬
November 3, 2016