শাহ আলম শফি,কুমিল্লা
কুমিল্লার মুরাদনগরে শুক্রবার গভীর রাতে শরিফুল নামের (২৮) এক সিএনজি অটোরিক্সা চালককে মারধর করে বাস থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে । নিহত শরিফুল ইসলাম মুরাদনগর গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় বাসচালক বাবুল ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ মুরাদনগর উপজেলা সদরে ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, শুক্রবার রাত ১২ টায় জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে একটি মিনিবাস হোমনা যাওয়ার পথে মুরাদনগর উপজেলা সদরে পৌঁছলে সেখানে অপেক্ষমান থাকা একটি সিএনজি অটোরিক্সার সাথে বাসের ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজি অটোরিক্সাচালক শরিফ বাসচালক ও হেলপারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বাসচালক ও হেলপার এসময় ওই সিএনজিচালককে ধরে বাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর গাড়ির ভেতরে তাকে মারধর করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল নামকস্থানে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই সিএনজিচালক মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই বাসটির পিছু ধাওয়া করে চালক বাবলু ভূইয়াসহ বাসটি জেলার হোমনা উপজেলার কাশিপুর থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা সদরে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সিএনজি চালক ও বাস চালকের মাঝে বাকবিতন্ডার জের ধরে সিএনজি চালক শরিফকে তারা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় পরে ঘোড়াশাল এলাকায় ফেলে দিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজিচালকের বাবা মালু মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতারের বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেন।