অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের থানাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত তিন শ্রমিক হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের হারেজের ছেলে নূর ইসলাম (৩০), একই গ্রামের আসাদ মুন্সির ছেলে জাহিদুর মুন্সি (১৮) ও সুমন (২৭)।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন শেখ বিপ্লব জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে থানা পাড়ার ব্যবসায়ী হায়দার মুন্সির নির্মাণাধীন বাড়ির বহুতল ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের নিচে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে তিন শ্রমিক নামেন। এক পর্যায়ে তারা অক্সিজেন স্বল্পতায় এবং বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শ্রমিক গৌতম মজুমদার বলেন, সকালে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে আমাদের ওই তিন সহকর্মী কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা উঠে না আসলে সন্দেহ হয়। অন্য সহকর্মীরা নিচে নেমে তাদের ছটফট করতে দেখে। পরে খবর পেয়ে আমিও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের ছটফট করতে দেখি। উদ্ধারের জন্য বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। কিন্তু তারা ট্যাঙ্কের মাঝখানে থাকায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় সাহা ওই তিন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দুপুর ১২টা থেকে মরদেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিয়ামুল ইসলাম বলেন, বিল্ডিং থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্রুত নিহত শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো. জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের মৃত দেখতে পাই। তখন আমাদের আর কিছুই করার ছিল না। নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কে পানি ছিল। সেখানে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন কমোঅক্সাইড তৈরি হয়। এ গ্যাসের মাত্রা সেখানে মানবদেহের জন্য অসহনীয় অবস্থায় থাকায় অক্সিজেন স্বল্পতায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।