গৃহ নির্যাতন থেকে পালিয়ে ব্যবসায়ী হলেন যে নারী

আন্তর্জাতিকডেস্ক:ল সালভেদরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান্তা অ্যনায় কাজ করেন ক্লদিয়া অ্যাগুয়িলোন। তিনি মূলত বেকারি ও রান্নার কাজ শেখান এখানে। তাঁর একটি রান্না শেখানোর স্কুল রয়েছে।২৬ বছর বয়সে ক্লদিয়া তাঁর বেকারি ও ক্যাটারিং কোম্পানি শুরু করেন, তাঁর বোন লিয়ানাকে সঙ্গে নিয়ে।আমেরিকার ছোট্ট এই শহরের নিজের ব্যবসা ভালোভাবে চালালেও অনেক কষ্টকর পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এখানে এসেছেন।এল সালভেদরকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, ২০১৫ সালে এখানে ছয় হাজার ছয়শো ৫৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।ক্লদিয়া বলছেন ব্যবসার কাজে মনোনিবেশ করে তিনি অতীত ভুলতে পারছেন, আর এখানে তাঁকে কেউ ঘাটাতে আসে না।গৃহ নির্যাতনের শিকার হওয়া ক্লদিয়া রান্নার বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সরকারী একটি সংস্থা থেকে। ওই সংস্থাটি গৃহ নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার সমস্ত নারীদের জন্য এ উদ্যোগটি গ্রহণ করে।

 
_92388486_mediaitem92388485 লিয়ানা

ওই সংস্থাটি থেকে ব্যবসা শুরুর জন্য ঋণেরও ব্যবস্থা করে দেয় ভুক্তভোগীদের।২০১৫ সালে নির্যাতনের যত অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ তাদের মধ্যে ছিল ক্লদিয়া ও লিয়ানার অভিযোগও।এই দু’বোনই তাদের স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।লিয়ানার দুই মেয়ে আছে। তাই তাদের বাবা এসে মাঝেমেধ্যে টাকা দিয়ে যায়। লিয়ানা বলছেন যখন তিনি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবেন অত্যাচারী লোকের কাছ থেকে আর টাকা নেবেন না।ব্যবসায়ী দু’বোনের ভাষ্য নিজ ঘরে অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনা তাদের সামনে পথ চলতে আরও বেশি অনুপ্রেরণা দেয়।