একাত্তর লাইভ ডেস্ক:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে গেছেন মুখ্য বিচারিক হাকিম। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল অধ্যুষিত মাদারপুর গ্রামে যান গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত সুপার আক্তার হোসেন মাদারপুর গ্রামে যান।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির নেতা ফিলিমিন বাস্কে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদারপুর গ্রামে এসে সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার। তারা ঘটনার বিবরণ শোনেন। সংঘর্ষ-হামলার স্থান পরিদর্শন করেন।
গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত এবং এতে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি না, তা তদন্ত করতে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে গত ১৪ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
ওই হামলার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় গত ১৬ নভেম্বর স্বপন মুর্মুর করা অভিযোগ (যেটি মামলা) এবং ২৬ নভেম্বর থমাস হেমব্রেমের করা অভিযোগ (যেটি সাধারণ ডায়েরি) একই বিবেচনায় পিবিআইয়ের পদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে তদন্তের জন্য রংপুর রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শককে পদক্ষেপ নিতে আদালত নির্দেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাঁওতালরা তাদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন দেওয়া, পুরোনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও হত্যার অভিযোগ করে। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে একটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে, অন্যটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। ওই ঘটনায় হাইকোর্টে পৃথক রিট হয়েছে।