বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে বিজয়ের মাত্র একদিন আগে বাংলাদেশের এই জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে নীলনকশা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের নির্মম, পাশবিকভাবে হত্যা করে তারা এই জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু যেই জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেই জাতিকে কখনোই পরাজিত করা সম্ভব হয় না। সেই জন্যই আজকে তারা আবার ওঠে দাঁড়িয়েছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় নিবেদন করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আমাদের সেই সব বরেণ্য শহীদ, যারা মেধা দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন, সেসব মহান শহীদদের, যারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে তাদের আজকে আবার স্মরণ করছি।”
ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে প্রায় ৪৬ বছর পরও আমরা বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যে কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য, মৌলিক অধিকারের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য, সেটা আজো আমরা অর্জন করতে পারিনি। আজ গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। আজ মানুষের অধিকার বঞ্চিত। এমনকি যে ন্যূনতম অধিকার গণতান্ত্রিক ভোট দেয়ার জন্য, সে অধিকারটুকু আমরা হারিয়ে ফেলছি।”
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “আজকে তাই এই দিনে আমরা শপথ নিতে চাই, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিকে স্মরণ করে, তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে আবার যেন মেধার একটি দেশ, মুক্ত চিন্তার একটি দেশে পরিণত করতে পারি, সেই শপথ আমরা গ্রহণ করছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, “আমরা সব সময় বলে এসেছি যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত, যারা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে, লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত ছিল এবং তাদের বিচারের মধ্য দিয়ে দায়মুক্তির বিষয়টা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। এটা আমরা বিশ্বাস করি সব সময়।”
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ সর্বস্তরের মানুষ।