খালেদা জিয়ার রায়ের অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। এরইমধ্যে রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে নেয়া হয়েছে কাঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ৭৬ প্লাটুন বিজিবি।

সকালে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি কম দেখা গেলেও গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছিল। তবে সাধারণ মানুষের চোখে-মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সকাল ১০টায় আদালতের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।

নানা বিচারিক ধাপ পার করে এই মামলার কার্যক্রম শেষ হয় গত ২৫ জানুয়ারি। মামলাটি দায়ের হয় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই। বিদেশ থেকে এতিমদের নামে আসা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট। তদন্তে প্রমাণ না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দ আহমেদ ও গিয়াসউদ্দিন আহমেদের নাম বাদ দেয়া হয়। আর নতুন করে অভিযুক্ত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ডক্টর কামাল সিদ্দিকী। ওই মামলায় ৬ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জগঠন করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ।

আসামীরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ডক্টর কামাল সিদ্দিকী, সাবেক এমপি সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আদালতে ২৩৬ কার্যদিবস শুনানিতে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা হয়। এরপর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ২৮ কার্যদিবস বক্তব্য রাখেন ৩ আসামী। পরবর্তী ধাপ ছিলো যুক্তিতর্ক। ১৬ কার্যদিবস দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। আসামীদের মধ্যে সাবেক এমপি সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আটক রয়েছেন। তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক। খালেদা জিয়া এ মামলায় অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।