একাত্তরলাইভ ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়নপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। তিনি যেখানে ভোট করতে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন সেই আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হলে কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসে ওই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। রায় বিপক্ষে গেলে তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী–১ এবং বগুড়া–৬ ও বগুড়া–৭ আসন থেকে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। যে কারণে বেগম খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, উচ্চ আদালত ইতোমধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। নিম্ন আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালতে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। তবে আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করলে সেই ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র বৈধ না অবৈধ, সে বিষযে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার। রিটার্নিং কর্মকর্তা কারো মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে বাতিল করলে তার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইসিতে আপিল করতে পারবেন। কমিশন সেই আবেদন বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন কমিশন সে অনুযায়ী কাজ করবেন।