একাত্তরলাইভডেস্ক: সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। তবে শরীরের ভারসাম্য রাখার সামর্থ্য না থাকায় ঘোরানোর সময় বেল্ট বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।খাদিজা স্কয়ার হাসপাতালে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইসডিইউ) চিকিৎসাধীন।খাদিজার ভাই শাহিন আহম্মেদ জানান, কয়েকদিন ধরে খাদিজাকে বেড থেকে তুলে কিছু সময় হুইল চেয়ারে ঘোরানো হয়। বোবরারও তাকে ঘোরানো হয়েছে। হুইল চেয়ারে ঘোরানোর সময় বেল্ট বেঁধে দেওয়া হয়। কারণ তার শরীরের ভারসাম্য রাখার সামর্থ্য নেই।তিনি আরো জানান, চিকিৎসকেরা তাকে জানিয়েছেন, খাদিজাকে আরো অন্তত ২ থেকে ৩ মাস পর্যাবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর বলা যাবে তার অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে।গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম খাদিজার ওপর হামলা চালায়। এরপর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে ৪ অক্টোবর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে প্রথম দফায় খাদিজার মাথায় ও পরে হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থার একটু উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর আইসিইউ থেকে বের করে এইচডিইউ-এ স্থানান্তর করা হয়।এদিকে রোববার খাদিজার ওপর হামলায় দায়ের করা মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্ত অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় শুনানি স্থগিত করেছেন আদালত।
খাদিজাকে হুইল চেয়ারে বসানো হচ্ছে

October 23, 2016