খাগড়াছড়িতে অস্ত্র সহ বিপুল সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনী ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র(ইউপিডিএফ) মধে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় আজ শনিবার ভোর রাতে নিহত সন্ত্রাসীর লাশ ও ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আরো একটি এম-১৬ রাইফেল উদ্বার হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনটি ভারী আগ্নেয়াস্ত্র শতাধিক গুলিসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম উদ্বার হলো। অন্য উদ্বার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী জি-৩ রাইফেল, একটি জি-৩ রাইফেলের ম্যাগজিন, ৪৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি চাইনিজ সাব মেশিনগান, একটি চাইনিজ সাব মেশিনগানের ম্যাগজিন, ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি এম-১৬ রাইফেল, এম-১৬ রাইফেলের একটি ম্যাগজিন,একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি মোবাইল, একটি ব্যাগ উদ্ধার করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী।তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার একটি দল দাতকুপিয়া এবং ভুয়াছড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থান কুতুকছড়িতে ইউপিডিএফ’র ১৫-২০ সদস্যের একটি গ্রুপ গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে।যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে যৌথ বাহিনীও গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অন্ধকার পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় যৌথ বাহিনীর গুলিতে আরো একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা গণমাধ্যমকে তাদের সংগঠনের সাথে এ ধরণের কোনো সংঘর্ষের খবর অস্বীকার করেছেন।সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, জেলার সদর উপজেলার কুতুকছড়ির বৈঠকে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তাইন্দং, গঙ্গারাম, সাজেক, বঙ্গাতলী, ঘিলাছড়ি, কামুক্কুছড়া, কুতুকছড়ি, মাইচছড়ি, সিদ্ধিছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে এমন তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে রয়েছে।