প্রতিনিধি প্রতিবেদক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংস করে ফেলেছে। সরকার এই দেশটাকে সম্পূর্ণ বাসের অনুপযোগী করে গড়ে তুলেছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের ‘বশির উদ্দিন মিলনায়তন’ খেলাফত মজলিশের নবম কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো মধ্যে আধিপত্যের প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করার চক্রান্ত করছে। এই সরকার এই দেশটাকে, এই রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ বাসের অনুপযোগী করে গড়ে তুলেছে। রাষ্ট্রের সমস্ত যে স্তম্ভ, যে পিলার, সেই পিলারগুলোকে তারা শেষ করে ফেলেছে। কথাটা আমার একার না। কালকেই মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছে, যেটাকে বলা হয়- কে কার থেকে বড় সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে।’
নিজের অভিযোগের সমর্থনে এই বক্তব্যে হাজির করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এরা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে, পরিকল্পিতভাবে এই অনির্বাচিত অবৈধ সরকার এই কাজটি করছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করবার তারা চক্রান্ত করছে।’
বিএনপি নেতা আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে তারা। এ ছাড়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও তাগিদ দেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন ছাড়া সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে একটি সত্যিকারের নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন’ বেগবান করে অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
খেলাফত মজলিসের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা নূর হোসেন কাশেমী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।