কুমিল্লা ৩-১ বরিশাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিপিএলের গত আসরে দুই দলই ছিল একেবারে নতুন। সেরার লড়াইয়ে দুই দলই ছিল সেরা। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গত আসরে বিপিএলে তিনবার মুখোমুখি হয় কুমিল্লা,বরিশাল। তিনবারই ম্যাচ জেতে কুমিল্লা। গ্রুপ পর্বে ৮ ও ৭ উইকেটে জয়ের পর বিগ ফাইনালে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে কুমিল্লা। তবে এবার আর পারল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চতুর্থ আসরের বিপিএলের প্রথম মুখোমুখিতে আগের তিন হারের প্রতিশোধ নিল বরিশাল। চ্যাম্পিয়নদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাশরাফির দল ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে মাত্র ১২৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মুশফিকুর রহিমের দল ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। বরিশালের হয়ে বল হাতে একক কোনো বোলার কুমিল্লা শিবিরে আগ্রাসন দেখাননি। সম্মিলিত আক্রমণে সাফল্য পেয়েছে বরিশাল। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নজর করে বরিশালের ফিল্ডাররা। ৮ উইকেটের মধ্যে ২টি রান আউট তারই প্রমাণ দেয়। এছাড়া বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন প্রথম ম্যাচ না খেলা পেসার আবু হায়দার রনি। ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল, আল-আমিন, এমরিট ও পেরেরা। কুমিল্লার জার্সিতে লড়াই করেন দুই বিদেশী মারলন স্যামুয়েলস ও সোহেল তানভীর। স্যামুয়েলস ৪৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৮ এবং তানভির ১৯ বলে ৩ ছক্কায় করেন ৩০ রান। তানভীরের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ৩টি ছয়ই হজম করতে হয় গত আসরে কুমিল্লার হয়ে খেলা রনিকে। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই চালিয়ে যায় কুমিল্লা। মাশরাফি, সোহেল তানভীর, মোহাম্মদ শরীফ ও নাবিল সামদরা ১৮ ওভার পর্যন্ত লড়াই টেনে নিয়ে যান। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ম্যাচে ফিরে আসে বরিশাল। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন বরিশালের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরা। দুজনের দায়িত্বশীল ও আগ্রসী ব্যাটিংয়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি বরিশালের। ২৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করে মুশফিক ফিরে গেলেও থিসারা সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেই মাঠ ছাড়েন।শরীফের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ নেন পেরেরা। বরিশালের ডাগ আউটে হাসি ফিরে এলেও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা এখনও জয়ের হাসির খোঁজে। রোববার তাদের ম্যাচ খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে। মাশরাফি এন্ড কোং চাইবেন তৃতীয় ম্যাচেই যেন জয়ের ‘হালখাতা’ খুলে যায়।