কুমিল্লার গ্রাম গঞ্জে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

শাহআলম শফি,প্রতিনিধি  কুমিল্লা
বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উপলক্ষে কুমিল্লার ১৬ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় সরগম থাকছে বিভিন্ন বয়সের মানুষে ভিড়ে। পসরা সাজিয়ে বসেছেন হস্ত ও কারু শিল্পীরা। মৃৎশিল্প, বাঁশ ও বেতশিল্প, নকশীকাঁথা, শতরঞ্জি, হাতপাখা, গহনা, ঝিনুকপণ্য, পুঁথিরমালা সবই পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
বিভিন্ন উপজেলার বটতলা, নদীর পাড়ে ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির’কে ঘিরে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা। ১লা বৈশাখ থেকে আরাম্ভ হয়ে মাস ব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চলবে মেলা। মেলায় বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করার পাশাপশি দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও লক্ষ করা যাচ্ছে। মেলা উপলক্ষে বসেছে নাগর দোলা, মুড়ি-মুড়কি, বাচ্চাদের চরকি গাড়ি, জিলাপী, ছটপটি-হালিম, বাঁশি, মেয়েদের প্রসাধণী সামগ্রী, বটি-দা, কুড়াল, মাছ শিকারের জন্য ঝাঁকি জাল, হাতপাখা, ঘুড়ি ও বিভিন্ন কাঁঠের মালের দোকান। দোকান গুলিতে ক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেলা থেকে শিশুদের খেলনা, খাবার থেকে শুরু করে যে যার চাহিদা ও সাধ্যমত কিনছেন তার পছন্দেও জিনিসটি। বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায় ঐতিহ্যবাহী রানী ময়নামতী বাংলোকে ঘিরে শত বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈশাখী মেলা। প্রতি বৈশাখ মাসের ৭ তারিখ ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি আরাম্ভ হয়। মেলার প্রথম দিন বিভিন্ন রকমের পন্য থাকলেও পরের দিন থেকে শুধু মাত্র কাঠের তৈরি আসবাবপত্রের মেলা চলে মাস ব্যাপী। সব কিছু মিলিয়ে শতবর্ষ পুরাতন এ মেলাটি এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। এছাড়া মেলা উপলক্ষে ময়নামতি রাণী’র প্রাসাধের পাশে অবস্থিত ময়নামতি কালী মন্দিরে হাজারো পূর্ণ্যার্থীদের মিলন ঘটে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপস্থিতির কারনে এক মিলন মেলায় রূপ নেয় ময়নামতি কালী মন্দির প্রাঙ্গনে। কিন্তু দু’বছর যাবত প্রতœতত্ব বিভাগের আপত্তির মূখে রানী ময়নামতির বাংলো এলাকায় বসতে পারছেনা এই মেলাটি। ফলে জায়গা সল্পতার কারণে ঐতিহ্য হারাতে শুরু করেছে শতবর্ষী এই মেলাটি। ময়নামতি কালী মন্দির কমিটির সেক্রেটারী এড. কিংকর দেবনাথ বলেন, প্রতœতত্ব বিভাগের আপত্তি থাকায় পূর্বের স্থানে বসতে পারছে না মেলাটি। তাই মন্দিরের আশে-পাশে ও পার্শ্ববর্তী স্কুল মাঠে আগামী ৭ বৈশাখ থেকে আরম্ভ হবে ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটি।