কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান দম্পতির জৈষ্ঠ্য তনয়া কাব্য কনীনিকা রহমান এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ ৫(গোল্ডেন এ+) পেয়ে উত্তির্ন হয়েছে। সে ঢাকা ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের আজিমপুর শাখার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। কাব্য কনীনিকা রহমান প্রতিবেদকে বলেন,“আমার মা-বাবা আমার আদর্শ। আমি আমার মা-বাবার মত ভাল একজন মানুষ হতে চাই। দীর্ঘক্ষন পড়াশুনা না করলেও আমি নিয়মিত রুটিন করে পড়াশুনা করেছি। আর আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি ভাল ফলাফল করতে হলে নিয়মিত অধ্যাবসায়ের বিকল্প নেই যা সকলেরই করা উচিত”।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ক্ষেত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন ভাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে চায় কাব্য। সে ভবিষ্যতে প্রশাসন ক্যাডারে মা-বাবার মত সৎ একজন কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কাব্য পড়াশুনার পাশাপাশি খুব ভাল গান গায় সে, ঢাকা ছায়ানটের নিয়মিত ছাত্রী ছিল। কাব্য কনীনিকা রহমান নিয়মিত খেলাধুলাও করে। ব্যাডমিন্টন খেলায় বেশ পারদর্শি সে। বই পড়া, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলা দেখা তার খুবই পছন্দের। বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা এবং সে ভাষায় গান করতে খুব ভালবাসে কাব্য।
কাব্য কনীনিকা রহমানের মা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া তার কন্যার এ ভাল ফলাফলের ব্যাপারে বলেন – মা হিসাবে আমার মেয়ের এ ফলাফলে আমি আসলেই অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত । আমার দুটি কন্যা সন্তান কাব্য বড় আর ছোট প্রজ্ঞা পরমিতা ক্লাস ৮ এ ফরিদপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমি আমার সন্তানদের রবি ঠাকুরের একটি কবিতার “ভাল মন্দ যা হাই আসুক, সত্যকে লও সহজে” এই দুটি লাইনের উদ্ধৃতি সবসময় দেই। আর আমার সন্তানদের কাছে প্রত্যাশা করি তারা যেন ভাল মানুষ হয়। আমি কখনই পড়াশুনা বা কোন কিছুই বাচ্চাদের উপর চাপিয়ে দেইনি। কাব্য কনীনিকাকে পড়ার কথা কখনই বলতে হয়নি , সে পড়াশুনার ব্যাপারে অত্যন্ত মনোযোগী। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন”।
কাব্য কনীনিকা রহমান ভাল মানুষ হতে চায়
