অনলাইন ডেস্ক : রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের সময় দেশের কোথাও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলে কঠোর হাতে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হুদা বলেন, ‘প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। আগামীকাল সকাল ৮ ঘটিকায় দেশব্যাপী একযোগে ভোট শুরু হবে। ’
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এগুলো আমাদের কাম্য ছিল না। সহিংসতার কারণে যেখানে ফৌজদারি অপরাধ ঘঠিত হয়েছে। সেখানে নিরপেক্ষ তদন্ত করে, দায়ী ব্যক্তিদেরকে বিচারের সামনে হাজির করার জন্য সংশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিচ্ছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালকের নির্বাচনের সকলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদের নির্দেশ দিচ্ছি। সহিংস কিংবা নাশকতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হলে তা কঠোর হাতে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছি। ’
নুরুল হুদা বলেন, ‘অবৈধভাবে কোনো মহল ভোটকেন্দ্রে অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে, দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণ করবে। কোনো বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণে অথবা নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ব্যাহত হলে সে অধিক্ষেত্রের বাহিনীকে দায়ী করে তদন্ত করা হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে একে একটি অংশগ্রহণমূলক, ইনক্লুসিভ নির্বাচন বলতে পারি। ৩০০টি আসনের বিপরীতে রেকর্ড সংখ্যক ৮ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে রয়েছে। দেশের সব রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ’
নির্বচনী প্রচার-প্রচারণায় সমগ্র দেশ মুখরিত জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘মিছিল, সমাবেশ, পথসভা, লংমার্চ, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টানানো, জনসংযোগ, ঘরে ঘরে গমণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রতিযোগিতামূলক আবহ সৃষ্টি হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রস্তুতিপর্বে দেশব্যাপী ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৮০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ’
সিইসি বলেন, ‘১০ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৮৩টি নির্বাচনী কেন্দ্র এবং ২ লক্ষ ৬ হাজার ৭৬৭টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সমগ্র সামগ্রী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ আজ নির্বাচনী মালামাল নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।’